বিশ্বাসের স্বচ্ছতায় গড়ে উঠুক সম্পর্ক

সুমি দাশ | বুধবার , ১২ জানুয়ারি, ২০২২ at ৬:২৩ পূর্বাহ্ণ

‘সম্পর্ক’ একটা অনুভূতি সৃষ্টির নাম, যার ভিতরেই রয়েছে পরম শান্তি, সুখ, বিশ্বাস, আস্থা, নির্ভরশীলতা, সর্বোপরি পারস্পরিক মায়াময়, আন্তরিকতা ও ভালোবাসা। যেটাতে এক আত্মার সাথে আরেক আত্মার সংমিশ্রণ ঘটে। সমাজে চলার পথে ‘সম্পর্ক’ এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই সম্পর্কের কোনো তুলনা যেমন নেই, তেমনি পরিমাপও করা যায় না। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে কখন, কোথায়, কীভাবে যে একটা মনের অনুভূতির সাথে আরেকটি মনের অনুভূতির মিলনে মানুষের সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়, আমরা কেউ তা জানি না। প্রথমে পরিচয়, তারপর বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসায় রূপ নেয়। একটু স্বস্তি, একটু শান্তি এবং একটু বিশ্বাস ও নির্ভরশীলতার জায়গা এই ‘সম্পর্ক’। সম্পর্কের যেমন ইতিবাচক দিক আছে তেমনি নেতিবাচক দিকও বিদ্যমান। অনেকে বিপরীত লিঙ্গের সাথে বুঝে বা না বুঝে সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। আর সেই সম্পর্কের অতিমাত্রা আবেগের কারণে অনেকে ভুল পথেও চলে যায়। কিন্তু একটা সম্পর্ক হতেই পারে যে কারো সাথে। তবে যার ব্যাখ্যাও হতে হবে রুচিশীল তথা সর্বজন স্বীকৃত। জীবনে চলার পথে একজন ভালো বন্ধুর প্রয়োজন রয়েছে। যেখানে স্বচ্ছতা আছে, গুরুত্ব আছে, একে অপরের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আছে। সেখানে অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত না হয়েও সুন্দর সম্পর্ক বা ভালো বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখা যায়। কিন্তু বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ার বদৌলতে, অতি আধুনিকতার ছোঁয়ায় নেতিবাচক সম্পর্কে জড়িয়ে যাচ্ছে বেশিরভাগ। এতে সবচেয়ে বিরূপ প্রভাব পড়ছে পরিবার বা সন্তানদের উপর।
অপরিবারের প্রতি উদাসীনতা ও অবিশ্বাসের কারণেই অশান্তির ছায়া নেমে আসে সুন্দর সম্পর্ক নামক বন্ধনটির মাঝে। এই এঙট্রা মেরিটিয়াল সম্পর্কের কারণে স্বামী স্ত্রীর বিশ্বাস, ভালোবাসা, সম্মান সবকিছুই বিনষ্ট হয়ে যায়। আমরা প্রায় বিভিন্ন মাধ্যমে দেখছি পুরুষ বা নারী তার কর্মস্থলে উর্ধত্তন বসদের সাথে পরকীয়ার সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছে। এরা অতি আবেগের কাছে বিবেককে বিসর্জন দিয়ে সবচেয়ে ক্ষতি করছে নিজ পরিবার ও সন্তানের। তবে এক্ষেত্রে নিজস্ব মূল্যবোধকে মনে ধারণ করে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে হবে। মনকে স্বচ্ছতায় রেখে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে, নৈতিকতার পরিচর্যা করতে হবে, তবেই সুসম্পর্ক বজায় থাকবে পরিবার তথা বন্ধুত্বের সম্পর্কে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমায়ের মুখ
পরবর্তী নিবন্ধদূরের টানে বাহির পানে