বিশ্বকাপ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বে সাকিব

ক্রীড়া প্রতিবেদক | রবিবার , ১৪ আগস্ট, ২০২২ at ৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ

সাকিব আর বিতর্ক দুটোই যেন এক সাথে বাঁধা। এবার বিতর্ক অনলাইন বেটিং সাইটের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বেটউইনারের সঙ্গে তার চুক্তি নিয়ে। কদিন ধরে চলা এ বিতর্ক অবশ্য শেষ হয়েছে। বেটউইনারের সঙ্গে সাকিব চুক্তি বাতিল করেছেন। এরপরই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সাকিবের কাঁধে তুলে দিয়েছে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্বের ভার। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত এই অলরাউন্ডার নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশকে। এই মাসের শেষ দিকে এশিয়া কাপ দিয়ে শুরু হবে সাকিবের টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্বের নতুন অধ্যায়। পরে অক্টোবরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

গতকাল শনিবার বিকালে সাকিবের সঙ্গে আলোচনায় বসেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান, বোর্ড পরিচালকদের কয়েকজন ও নির্বাচক কমিটি। গুলশানে বিসিবি সভাপতির বাসভবনে এই সভা শেষে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি জানান অধিনায়ক হিসেবে সাকিবকে বেছে নেওয়ার কথা। তিনি বলেন, আমরা কয়েকটি সিরিজের জন্য সাকিব আল হাসানকে অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করছি। বাংলাদেশ টেস্ট দলের নেতৃত্ব আগে থেকেই ছিল সাকিবের। এবার টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বে ফেরার পর ফিরে এলো ২০১৯ সালের বাস্তবতা। সেবার জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করে আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়ার আগে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি।

সাকিবের নিষেধাজ্ঞার পর থেকে বাংলাদেশকে টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন মাহমুদউল্লাহ। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের চরম ব্যর্থতার পর নেতৃত্বে রেখে দেওয়া হয় তাকেই। তবে গত কিছুদিনে তার নিজের ফর্মহীনতা ও দলের বাজে পারফরম্যান্সে সমালোচনা হতে থাকে তীব্র। সম্প্রতি জিম্বাবুয়ে সফরে মাহমুদউল্লাহকে দলের বাইরে রেখে অধিনায়ক করা হয় নুরুল হাসান সোহানকে। এসব শেষে আবারও অধিনায়ক সাকিব। যদিও গোল বেধেছিল বেটউইনার নিউজের সঙ্গে সাকিবের চুক্তি নিয়ে। বিসিবি সভাপতি সাফ জানিয়ে দেন, বেটিং সাইট বেটউইনারের সহযোগী এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বাতিল না করলে সাকিবকে নেতৃত্বের বিবেচনায় রাখা তো বহুদূর, বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গেই তার কোনো সম্পর্ক থাকবে না। এই হুঁশিয়ারির পর দ্রুতই চুক্তি বাতিলের কথা বিসিবিকে লিখিতভাবে জানান দেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার বলে বিবেচিত এই অলরাউন্ডার।

চুক্তি বাতিল করার পরও তার সঙ্গে আলোচনার অপেক্ষায় ছিলেন বিসিবি সভাপতি। বিসিবিকে না জানিয়ে এই চুক্তি করা ও এমন একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করা নিয়ে তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চান বোর্ড প্রধান। সাকিব শেষ পর্যন্ত নেতৃত্ব পাওয়ায় তার ব্যাখ্যায় বিসিবি সন্তুষ্ট বলেই ধরে নেওয়া যায়। সাকিবের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টিতে ২১টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। তাতে জয় এসেছে ৭টিতে, পরাজয় ১৪টি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজোয়ারে তলিয়ে গেছে স্লুইস গেট
পরবর্তী নিবন্ধপঁচাত্তরের মতো আর কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেয়া হবে না