বিরতি দেওয়ার গুরুত্ব জানতেন

| বৃহস্পতিবার , ৮ জুলাই, ২০২১ at ৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ

১৯৪৪ সালে দিলীপ কুমার যখন ফিল্ম ক্যারিয়ার শুরু করেন তখনকার বেশিরভাগ অভিনেতা একটি স্টাইলে পারফর্ম করতেন, যাকে বলা হতো লাউড অ্যাক্টিং। এটি এসেছিল পার্সি থিয়েটারের প্রভাবে।
বিখ্যাত গল্প লেখক সালিম বলেন, দিলীপ কুমার যেসব চরিত্রে অভিনয় করতেন তার সূক্ষ্ম বিষয়গুলো পর্দায় ফুটিয়ে তুলতেন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে নীরব হয়ে যেতেন। সেটা দর্শকের ওপর গভীর ছাপ রেখে যেত।
মুঘল-ই-আযম মুভিতে প্রখ্যাত অভিনেতা পৃথ্বীরাজ কাপুরের চরিত্র ছিল খুবই প্রভাবশালী ও বলিষ্ঠ। তার মতো করে আর কেউই চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে পারতেন না। কিন্তু দিলীপ কুমার তার কণ্ঠকে নিচু স্বরে এমন অভিজাত ও দৃঢ়তার সাথে সংলাপ ছুড়ে দিতেন যা দর্শকের ভক্তি কুড়িয়েছে।
দিলীপ কুমার, রাজ কাপুর ও দেব আনন্দকে বল হতো ত্রিমূর্তি। কিন্তু দিলীপ কুমারের মতো বহুমাত্রিক অভিনয় দক্ষতা তাদের ছিল না। রাজ কাপুরের রোল মডেল ছিল চার্লি চ্যাপলিন আর দেব আনন্দ কখনো গ্রেগরি পেকের প্রভাব থেকে বেরুতে পারেননি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিনেমায় এনেছিলেন দেবিকা রাণী
পরবর্তী নিবন্ধমধুবালার সাথে ভালোবাসা, দ্বন্দ্ব