বিপ্লব উদ্যানে ফুল দিতে বিএনপিকে বাধা

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৮ মার্চ, ২০২১ at ৮:১৮ পূর্বাহ্ণ

স্বাধীনতা দিবসে নগরের ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। পরে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সমাবেশ করে দলটি।
বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার সকাল থেকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ পুরো বিপ্লব উদ্যান ঘিরে রাখে। শুরুতে স্বেচ্ছাসেবকদলসহ বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিপ্লব বেদীতে ফুল দিতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় ধাক্কাধাক্কিও হয়। পরে নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হলে তাদেরও ভেতরে যেতে বাধা দেয়া হয়। পরে দক্ষিণ পাশে রাস্তায় প্রতিবাদ সমাবেশ শেষ করে উদ্যানের গেইটে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় নেতকর্মীরা।
প্রতিবাদ সমাবেশে ডা. শাহাদাত বলেন, শহীদ জিয়া চট্টগ্রামের বিপ্লব উদ্যান থেকে উই রিভোল্ট বলে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। সরকার স্বাধীনতা দিবসেও পুলিশ দিয়ে এই বিপ্লব উদ্যানে শ্রদ্ধা জানাতে বাধা দিচ্ছে। পুলিশ তো কোনো রাজতন্ত্রের কর্মচারী নয়, তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। স্বাধীনতা দিবস তো শুধু আওয়ামী লীগের নয়, এটা সমগ্র বাংলাদেশের। এই স্বাধীনতা দিবসে ব্যানার ও জাতীয় পতাকা কেড়ে নিয়ে ফুল দিতে বাধা দিয়ে পুলিশ মৌলিক অধিকার হরণ করেছে।
নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র ও বিপ্লব উদ্যান বাংলাদেশের স্বাধীনতার সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত। স্বাধীন বাংলাদেশ ও জিয়াউর রহমান একে অপরের সম্পূরক। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় আসার পর থেকে স্বাধীনতার সকল আশাগুলো ভেঙে খান খান করেছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, সদস্য নিয়াজ মো. খান, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, আহমেদুল আলম রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্‌জুর আলম চৌধুরী মন্‌জু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, পাঁচলাইশ থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, বায়েজিদ থানা বিএনপির সভাপতি আবদুল্লাহ আল হারুন, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহিলা দলের সাধারণ সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, ডবলমুরিং থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী বাদশা মিয়া, বায়েজিদ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের জসিম, মৎসজীবী দলের আহ্বায়ক নুরুল হক, ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিনসহ মহানগর, ১৫ থানা ও ৪৩ ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরোহিঙ্গা ক্যাম্পে একেকটি সিম বিক্রি হয় ৫ হাজার টাকায়
পরবর্তী নিবন্ধ৪০ সেকেন্ডেই চুরি মোটর সাইকেল