চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, এদেশে প্রত্যেক দলেরই রাজনীতি করার এবং রাজপথে কর্মসূচি পালনের অধিকার রয়েছে। তবে এই কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে কেউ যদি জানমালের ক্ষতি করেন তাহলে আমরা জানমাল রক্ষায় জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে ছিলাম–আছি এবং থাকবো। গতকাল দুপুরে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দারুল ফজল মার্কেট চত্বরে বিএনপি জামায়াতের আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, অতীতে আমরা জামায়াত–বিএনপির আগুন সন্ত্রাসে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করতে দেখেছি। এমনকি থানা, সরকারি অফিস– আদালতেও আগুন দিয়ে সম্পদ হানী করতেও দেখেছি। কিন্তু জনগণ তা সহ্য করেনি। জনগণকে সাথে নিয়েই আমরা সেই মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে প্রতিহত করেছি। তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, পবিত্র সংবিধান অনুযায়ী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন কমিশন ঘোষিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে কেউ যদি না আসেন তাহলে তারা নিজেরাই গৃহবন্দি থাকতে বাধ্য হবেন। বিদেশি প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না।
সভাপতির বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সরকারকে অবৈধভাবে উৎখাতের জন্য চক্রান্ত হচ্ছে। ৭১ এর পরাজিত শক্তি বংশধরেরা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। ইতিহাস বলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কখনো কোনো আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হয়নি।
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের নীল নকশার মাধ্যমে স্বাধীনতা ও দেশবিরোধী অপশক্তি। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে এদেশকে পাকিস্তান বানানোর দুঃস্বপ্ন দেখেছিল যা সফল হয়নি। তিনি আরো বলেন, এখনো যারা আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাতের নামে একই পথ বেছে নিয়েছেন তারা অনেক আগেই উৎখাত হয়ে গেছেন। মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ–সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাড সুনীল কুমার সরকার, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আলহাজ্ব সফর আলী, শেখ মাহমুদ ইছহাক, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, নির্বাহী সদস্য ড. নেছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, হাজী সিদ্দিক আলম, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। এছাড়া অলংকার মোড়, বহদ্দারহাট, অঙিজেন মোড় ও ইপিজেড মোড়ে একই কর্মসূচি পালিত হয়।