আওয়ামী সিন্ডিকেটের মুনাফার জন্য বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে সরকার

নগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে শামীম

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ at ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ

সরকার পতনে জনগণকে রাজপথে ‘দুর্বার’ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা না করে যখন তখন গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটছে সরকার। আওয়ামী সিন্ডিকেটের মুনাফার জন্য সরকার সর্বশেষ বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। বারবার বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করে সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এতে মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। এসব থেকে মুক্তি পেতে সরকারকে পতন করতে হবে। গড়ে তুলতে হবে দুর্বার আন্দোলন।

গতকাল বিকেলে নাসিমন ভবনের সামনে নূর আহম্মদ সড়কে অনুষ্ঠিত নগর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলোত্তর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন এবং বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দরপতনের মধ্যেই দেশে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর কারণ হলো লুঠপাট। দাম বাড়ানোর মাধ্যমে গ্রাহকদের পকেট থেকে বছরে হাজার কোটি টাকা লুটে নিবে আওয়ামী সিন্ডিকেট। বার বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ফলে দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে সাধারণ মানুষের। দেশীয় শিল্পকারখানা ধ্বংস করে কর্মসংস্থান বন্ধের মাধ্যমে দেশকে বড় ধরনের বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেয়ার চক্রান্ত চলছে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি দেশের শিল্পের শক্তি ধ্বংস করে দিবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যসহ জীবনযাত্রার সকল খরচ বেড়ে যাবে। মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে।

আবুল হাসেম বক্কর বলেন, দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন উর্ধ্বগতিতে জনগণ আজকে দিশেহারা। সরকারের সিন্ডিকেটের কারণে এই অবস্থা হয়েছে। সরকার জনগণের কথা চিন্তা না করে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগণকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম সাইফুল আলমের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, অ্যাড আবদুস সাত্তার, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, হাজী মো. আলী, মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, মন্‌জুর আলম মন্‌জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্‌জুর আলম চৌধুরী মন্‌জু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহিলা দলের মনোয়ারা বেগম মনি, শ্রমিক দলের তাহের আহম্মেদ, কৃষকদলের আহ্বায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, তাঁতী দলের আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান টিটু ও সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিদেশি প্রেসক্রিপশনে কোনো নির্বাচন হবে না
পরবর্তী নিবন্ধবিবাদীদের ‘সমঝোতার সুযোগ দিয়েছে’ নিউ ইয়র্কের আদালত