বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও নিবন্ধন স্থগিত করতে হবে বলে দাবি করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ গণহত্যার মাস্টারমাইন্ডরা কীভাবে পালালো? এসবের তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে সরকারকে। এদের পলায়নে সহায়তাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
গতকাল বুধবার বিকেল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নে মহান মুক্তিযুদ্ধে ও ২৪ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গণঅধিকার পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার উদ্যোগে এই দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। খবর বাসসের।
সভায় রাশেদ খান বলেন, নারায়ণগঞ্জের কুখ্যাত শামীম ওসমান দুই দুইবার বোরখা পরে পালিয়েছে। এরা নারায়ণগঞ্জের ত্রাস ছিলো। নারায়ণগঞ্জের বিপ্লবী জনতা এদের লাথি মেরে বিতাড়িত করেছে। আওয়ামী লীগের নেতারা বাংলাদেশকে নিজেদের দেশ মনে করে না, এদের আসল দেশ হলো ভারত। কিন্তু সেই ভারতও এদের রক্ষা করতে পারেনি। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমেই এদের পরাজয় নিশ্চিত হয়েছে।
গণ অধিকার পরিষদের এই শীর্ষ নেতা প্রশ্ন রেখে বলেন, কেন এখনো আওয়ামী লীগের অপরাধী, হাইকমান্ড ও শেখ পরিবারকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? ৩শ ডামি এমপির বিষয়ে সরকারের অবস্থান কী? কেন এখনো তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও দুদকের মাধ্যমে পাকড়াও করা হচ্ছে না?
সভায় সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলার আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম। নারায়ণগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক তোফাজ্জল হোসেন, জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হাসান, রবিউল ইসলাম, নাহিদ, আরিয়ান রিপন, ফেরদৌস ভূইয়া প্রমুখ।