বিএনপি যাদের নিয়ে ঐক্য করে তাদের মধ্যে প্রচণ্ড অনৈক্য

রাঙ্গুনিয়ায় তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রী

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | সোমবার , ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:৪২ পূর্বাহ্ণ

তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গত কয়েকদিন ধরে বিএনপি বলছে, সর্বশক্তি নিয়োগ করে সরকারের পতন ঘটাতে হবে। ২০১৮ সালের আগেও তারা ডান, বাম, অতিবাম সবাইকে নিয়ে ঐক্য করেছিলেন, সেই ঐক্যের শক্তি হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। দেখা গেছে বিএনপি যাদের নিয়ে ঐক্য করেন তাদের মধ্যে প্রচন্ড অনৈক্য। তিনি বলেন, এখনো তারা যে ঐক্যের কথা বলছেন, এই ঐক্য আগে যেমন করেছিলেন, হয়তো সেরকমই একটা কাগুজে ঐক্য করলেও করতে পারেন। তাদের মাঝে ‘ঐক্য প্রক্রিয়া’ নামে কিছু কিছু প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা জহির আহমদ চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইদ্রিছ আজগর, মুহাম্মদ আলী শাহ, ইফতেখার হোসেন বাবুল, শফিকুল ইসলাম, আকতার হোসেন খান, গিয়াস উদ্দিন খান প্রমুখ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্ব নেতৃবৃন্দ আজ শেখ হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ, জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রীকে পুরস্কৃত করেছে। আর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলছেন, ভিন্ন কথা। কারণ তারা আওয়ামী লীগের সাফল্য, শেখ হাসিনার সাফল্য দেখেও দেখেন না, শুনেও শুনেন না। তারা চোখ থাকতে অন্ধ, কান থাকতেও বধির। বিএনপির অবস্থা হচ্ছে সেরকম।
তিনি বলেন, খালি কলসি যেমন বেশি বাজে, বিএনপিও ঠিক সেরকম বেশি বাজে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে তৃণমূলের সংগঠন। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রাণ। সংগঠন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার কারণেই আজ আমরা পরপর তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায়। আমাদের সংগঠন দেশব্যাপী তৃণমূলে বিস্তৃত। ক্ষমতায় থাকায় কোন কোন জায়গায় অনেকের মধ্যে আলস্য এসেছে। এ আলস্য ঝেড়ে ফেলতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন খুব বেশি দিন বাকি নেই। দুবছরের একটু বেশি সময় পরেই বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে আমরা যদি সাংগঠনিক পুরো শক্তি দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি তাহলে ২০১৮ সালের মতোই ধস নামানো বিজয় আমাদের হবে, ইনশাল্লাহ।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে গত করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। তার নেতৃত্বে যেভাবে করোনাকে বাংলাদেশ মোকাবেলা করেছে, সেই সাফল্যগাঁথা বিশ্ব নেতৃবৃন্দ শেখ হাসিনার মুখ থেকে শুনতে চায়। যাতে অন্য দেশগুলো আমাদের এই সাফল্যের প্রেক্ষিতে তারা কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারে, অনুসরণ করতে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবায়েজিদের ১৬ ব্যক্তির কাছ থেকে ৩২ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায়
পরবর্তী নিবন্ধজাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করেছেন সন্তু লারমা