জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করেছেন সন্তু লারমা

রাঙামাটি প্রতিনিধি | সোমবার , ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা (৭৯) জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করেছেন। রাঙামাটি জেলা নির্বাচন অফিসার মো. শফিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ২৯ আগস্ট দুপুরে অফিস চলাকালীন রাঙামাটি জেলা নির্বাচন অফিসে এসে নিজেকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে ছবি তোলাসহ আনুষাঙ্গিক সকল কাজ সম্পন্ন করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করতে পারেন, এটাই স্বাভাবিক।
বাংলানিউজ সূত্রে জানা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া করোনাভাইরাসের টিকা নিতে পারছিলেন না সন্তু লারমা। যে কারণে বিদেশ ভ্রমণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে আটকে যাচ্ছিলেন। ফলে ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও অবেশেষে নিজেকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করালেন। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য সন্তু লারমা আবেদন করলেও এখনো তা তিনি হাতে পাননি। তবে ভোটার তালিকায় ইতোমধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৪২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার মহাপুরম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সন্তু লারমা। তার পিতার নাম চিত্তকিশোর চাকমা, মাতা সুভাষিণী দেওয়ান। বর্তমানে সন্তু লারমার বয়স ৭৯।
সন্তু লারমার ভোটার হওয়া প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল এক সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্র জরুরিভাবে প্রয়োজন হচ্ছে বিধায় তিনি আবেদন করেছেন। আগে প্রয়োজন হয়নি, তাই আবেদন করেননি।
উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সামরিক শাখা শান্তিবাহিনীর সাবেক প্রধান সন্তু লারমা ১৯৯৭ সালে সরকারের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির স্বাক্ষরের মাধ্যমে অস্ত্র সমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন। তিনি ১৯৯৯ সালের ১২ মে শান্তিচুক্তি মোতাবেক বিশেষ শাসন ব্যবস্থার অধীনে প্রতিষ্ঠিত পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানের (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এছাড়া ২০০০ সালে গঠিত বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপি যাদের নিয়ে ঐক্য করে তাদের মধ্যে প্রচণ্ড অনৈক্য
পরবর্তী নিবন্ধস্লিপ ছাড়াই দেয়া হচ্ছে ডিজেল