বায়েজিদের ১৬ ব্যক্তির কাছ থেকে ৩২ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায়

নাগিন পাহাড়ের আশেপাশে পাহাড় কেটে ভবন

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ

দৈনিক আজাদীতে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে বায়েজিদের চন্দ্রনগরে নাগিন পাহাড়ের আশেপাশে এনফোর্সমেন্ট চালিয়ে পাহাড় কাটা ও পরিবেশ ছাড়পত্র না নিয়ে বহুতল ভবন করার প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর জড়িত ১৬ ব্যক্তির কাছ থেকে ৩২ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে পরিবেশ অধিদপ্তর। গতকাল রোববার পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে পৃথক শুনানী শেষে অধিদপ্তরের পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূরুল্লাহ নূরী এসব জরিমানা করেন। পাশাপাশি জরিমানা পরিশোধ না করা পর্যন্ত তাদের আটকের নির্দেশনাও দেন তিনি। এসময় খুলশী থানা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিল। জরিমানার টাকা অনাদায়ে প্রত্যেককে কারাদণ্ড দেয়ার কথা থাকলেও জরিমানার টাকা পরিশোধ করায় সবাইকে মুক্তি দেয়া হয়। অন্যদিকে পরিবেশ ছাড়পত্রবিহীন বহুতল ভবন নির্মাণের দায়ে খুলশীর কৃষ্ণচুড়া আবাসিকের ৫ জনকে আড়াই লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। এসব জরিমানাও আদায় করা হয় বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর নাগিন পাহাড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পাহাড় কেটে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিসাধন এবং পরিবেশের ছাড়পত্র না নিয়ে ৬ তলার উর্ধে ভবন করার প্রমাণ মিলে। এরপর কমপক্ষে ৩০ জনকে শুনানীতে হাজির হওয়ার নোটিশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট পরিচালনাকারী টিম। পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নাগিন পাহাড় এলাকার মৃত মোজাহের হোসেনের ছেলে মো. শফিউল আলমকে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা, নুরুল আবছারের ছেলে মো. সাইফুদ্দিনকে দুই লাখ টাকা, মোজাম্মেল হক জাফরকে দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা, নিলুফার বেগমের পক্ষে মো. সেলিমকে দুই লাখ টাকা, আবদুর বাহারের ছেলে মো. আনোয়ার পাশাকে দুই লাখ টাকা, মৃত নজু মিয়ার ছেলে গাজী মীর আহম্মদকে দুই লাখ টাকা, আবদুল খালেকের ছেলে নূরুল আবছারকে দেড় লাখ টাকা, মো. আবদুল বশরের ছেলে এমদাদ উল্লাহকে দুই লাখ টাকা, মৃত মোজাহের হোসেনের ছেলে মো. শফিউল আলমকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা, মৃত মোহাম্মদ বাদশা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ মুছাকে দুই লাখ টাকা, মৃত ইমান শরীফের ছেলে ফিরোজ আহম্মদকে দুই লাখ টাকা, দিদারুল আলমের ছেলে সাইদুল আলম ইফতিকে দুই লাখ টাকা, ওবাইদুল্লাহ’র ছেলে মো. জাফর আলমকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা, আবদুল ফজলের ছেলে ফজলুল রহমানকে দুই লাখ টাকা, মোজাহিদের ছেলে আহম্মদ মোস্তফা ফাহিমকে দুই লাখ টাকা, বানু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ শফিকে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অন্যদিকে কৃষ্ণচূড়া আবাসিকের তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী, ইকরামুল বাসার, মো. বোরহান উদ্দীন, মোহাম্মদ তৌফিকুর রহমান ও মাহাবুবুল আলমসহ প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর দৈনিক আজাদীতে “নাগিন পাহাড় বাঁচবে না?, রাতের আঁধারে মাটি নিয়ে যান প্রভাবশালীরা, পাহাড়ি ভূমিতে তৈরি হচ্ছে ভবন” শীর্ষক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅর্ধেক টাকা ফেরত পেতে পারেন ডেসটিনি-যুবকের প্রতারিতরা
পরবর্তী নিবন্ধবিএনপি যাদের নিয়ে ঐক্য করে তাদের মধ্যে প্রচণ্ড অনৈক্য