বাল্যবিবাহ একটি প্রথা যা নারীদের ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সামাজিক মূল্যবোধ ও অসম অবস্থানকে প্রতিফলিত করে। দেশে বাল্যবিবাহ ধীরে ধীরে কমলেও এখনো পর্যন্ত দেশের অনেক স্থানে বাল্যবিবাহ হচ্ছে। বাল্যবিবাহের জন্য সাধারণত দারিদ্র্য ও অশিক্ষাকে কারণ হিসেবে দেখা হলেও বিভিন্ন গবেষণার সূত্র মতে, সমাজের সার্বিক পটভূমি ও বিভাজন ও এর অন্যতম কারণ। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সরকারি বেসরকারি সকল সংস্থার নিজস্ব উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত চট্টগ্রাম জেলা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল এবং ইপসার সহায়তায় ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭, শিশু অধিকার ও সুরক্ষা এবং জেন্ডার সমতা বিষয়ক’ দুইদিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তার। উপস্থিত ছিলেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের চাইল্ড প্রটেকশান এবং সেইফগার্ড স্পেশালিস্ট সুমনা চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাধবী বড়ুয়া, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ফরিদুল ইসলাম, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ওয়াহীদুল আলম, জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক মো. সাঈদ হাসান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক প্রজেশ কুমার সাহা, সিনিয়র সহকারী কমিশনার হিমাদ্রী থিসা, সহকারি কমিশনার ফাহমিদা আফরোজ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো. সেলিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হাসমত জাহান, ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহেদা আক্তার, জেসমিন সুলতানা পারু , ফারহানা ইদ্রিস, মো. ওমর শাহেদ হিরো প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।