বারইয়ারহাট পৌর মেয়রসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা

নদী থেকে বালু তোলা নিয়ে হামলা

মীরসরাই প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ১৮ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:১২ পূর্বাহ্ণ

ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার মুহুরি প্রকল্প এলাকায় আমিরাবাদ ইউনিয়নের চর সোনাপুর গ্রামের ফেনী নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনায় বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম খোকনসহ মেয়রসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ মামলায় মেয়র রেজাউল করিমসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসানের আদালতে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী নুরুল আলম ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মজিবুল হক রিপনের মালিকানাধীন মেসার্স প্রত্যয় এন্টারপ্রাইজ নামক প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠান সরকারকে নিয়মিত রাজস্ব দানসহ সরকারের সকল নীতিমালা মেনে, সোনাগাজীর সোনাপুর এলাকায় ফেনী নদীতে মুহুরি প্রকল্পের এক হাজার মিটার সামনে ৮৪ একর জায়গা ইজারা নিয়ে বালু উত্তোলন করছে। কিন্তু গত ১৪ অক্টোবর একইস্থানে ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে উল্লেখিত ২২ জন আসামি ছাড়াও অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন সন্ত্রাসী জোরজবরদস্তি করে বালু উত্তোলন করতে থাকে। এ সময় স্থানীয়রাসহ মেসার্স প্রত্যয় এন্টারপ্রাইজের শ্রমিকেরা তাদের বাধা দিলে, তারা ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বেপরোয়াভাবে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা তাদের তিন লাখ টাকার ২৫ হাজার ঘনফুট বালু, ২০টি ড্রামে থাকা ৬০০ লিটার ডিজেল, ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা দামের ৪টি জাহাজের ১৬টি ব্যাটারি লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়া আরও ৭ লাখ টাকা মূল্যের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে।
এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী বুলবুল আহম্মদ সোহাগ বলেন, আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জন্য সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আদেশ দিয়েছেন।
সোনাগাজী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদ হোসেন জানান, আদালত থেকে মামলার কাগজপত্র এখনো হাতে পাইনি। কাগজপত্র পেলে আমরা নির্দেশ অনুযায়ী তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেব।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ অক্টোবর দুই পক্ষের সংঘর্ষে বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিমসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় মেয়রের একজন সহযোগী চেয়ারম্যান মজিবুল হকসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সোনাগাজী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে পুলিশ এজাহারভুক্ত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। চেয়ারম্যান মজিবুল হক ইতোমধ্যে উচ্চ আদালতে আগাম জামিন নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজোবায়দা রহমানের দুর্নীতি মামলার চার্জশিট গ্রহণ ১ নভেম্বর
পরবর্তী নিবন্ধচমেক হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ড থেকে দুই দালাল আটক