বান্দরবানের লামায় ডায়রিয়ার প্রকোপ

শতাধিক আক্রান্ত, একজনের মৃত্যু

বান্দরবান প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২৬ এপ্রিল, ২০২২ at ৫:১৩ অপরাহ্ণ

বান্দরবানের লামায় ম্রো জনগোষ্ঠীর দু’টি পাড়ায় ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে ডায়রিয়ায় মিনতুই পাড়া এবং পমপং পাড়া দু’টিতে আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল সোমবার(২৫ এপ্রিল) ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ, নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয়দের তথ্যমতে, জেলার লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ম্রো জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত পাহাড়িদের দুর্গম দু’টি গ্রামে ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে।

সোমবার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মেম্বার লংক্রাত ম্রো।

খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর রূপসীপাড়া ক্যাম্পের সমন্বয়ে আলীকদম সেনাবাহিনী জোনের তত্বাবধানে একটি মেডিকেল টিম সোমবার দুপুরে রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বড় কলারঝিরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প করে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে।

মেডিকেল ক্যাম্পে মিনতুই ও পমপং ম্রো পাড়া সহ আশপাশের মোট ১২৫ জন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সরবরাহ করা হয়েছে বিনামূল্যের ঔষধও।

সেনাবাহিনীর আলীকদম জোনের ক্যাপ্টেন নুরুজ্জামান তুর্যের নেতৃত্বে মেডিকেল টিম এই স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে।

এসময় দু’টি ম্রো পাড়ার ৩৩ জন শিশু, ৪৬ জন নারী, ৩৬ জন পুরুষকে চিকিৎসা দেয়া হয় যাদের ৬০ শতাংশ ডায়রিয়ার রোগী। পাশাপাশি ১০ জন বাঙালি নারী-পুরুষ মেডিকেল ক্যাম্প থেকে চিকিৎসা নেয়।

এদিকে, অবস্থার অবনতি হলে আক্রান্ত পাড়া দু’টির ৩৩ জন ম্রো নারী-পুরুষকে দ্রুত লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাইনুদ্দিন মাজেদ চৌধুরী জানান, আক্রান্ত পাড়াগুলো থেকে ম্রো জনগোষ্ঠীর ২০ জন ডায়রিয়া রোগীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অধিকাংশ রোগীই শিশু ও বয়স্ক।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রোবিন বলেন, “হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোরে প্রতিদিন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে ভিড় জমাচ্ছে। গত ১ সপ্তাহ ধরে ডায়রিয়া রোগীর চাপ বেড়েছে। এই মুহূর্তে হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগের ঔষধের কোনো সংকট নেই। হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ৫০টি হলেও অতিরিক্ত রোগী ভর্তি হওয়ায় মেঝেতেও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় সিআইইউর উপাচার্যসহ নয় শিক্ষক
পরবর্তী নিবন্ধহাটহাজারীতে কীটনাশক পানে আত্মহত্যা