বাজারে আমন ধান, চালের দাম নিম্নমুখী

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৮ ডিসেম্বর, ২০২২ at ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ

কৃষকের ঘরে আমন ধান উঠার প্রভাবে দীর্ঘদিন উত্তাপ ছড়ানোর পর এবার কমছে চালের বাজার। গত দুই মাস ধরে উঠানামা করছিল চালের বাজার। চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, ধানের বাজার এখন নিম্নমুখী তাই কমছে চালের দাম। দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাজারে ডলার ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে চালের দাম বাড়ে। এছাড়া ভারত চাল রপ্তানিতে শুল্ক আরোপ করায় তখন আরেক দফা বাড়ে বাজার।

গতকাল নগরীর দুই প্রধান চালের আড়ত চাক্তাইয়ের চালপট্টি ও পাহাড়তলীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দুইদিনের ব্যবধানে বাজারে জিরাশাইল সিদ্ধ, নাজিরশাইল সিদ্ধ, স্বর্ণা সিদ্ধ, পাইজাম সিদ্ধ, মিনিকেট সিদ্ধ, মিনিকেট আতপ, কাটারিভোগ সিদ্ধ, কাটারিভোগ আতপ, বেতি আতপ ও মোটা সিদ্ধের দাম ৫০ কেজি ওজনের বস্তায় সর্বোচ্চ কমেছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত।

চালের আড়তদাররা জানান, বর্তমানে পাইকারিতে পাইজাম সিদ্ধের দাম বস্তায় ১০০ কমে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ টাকায়। এছাড়া স্বর্ণা সিদ্ধের দাম ১৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৭০০ টাকা, নাজিরশাইল সিদ্ধ বস্তায় ১০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৮০০ টাকায়। অন্যদিকে কাটারিভোগ আতপ বস্তায় ১০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৮০০ টাকা, কাটারিভোগ সিদ্ধ ১৫০ টাকা কমে বিক্রি ৩ হাজার ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বেতি আতপ ১০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ টাকা, পাইজাম আতপ ১০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ টাকা, মোটা সিদ্ধ ১৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ টাকা, জিরাশাইল সিদ্ধ ১০০ টাকা কমে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬৫০ টাকা, মিনিকেট সিদ্ধ বস্তায় ১০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৫০ টাকা এবং মিনিকেট আতপ ১০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮৫০ টাকায়।

চট্টগ্রাম রাইচ মিলস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিক উল্লাহ বলেন, কৃষকের ঘরে নতুন আমন ধান উঠছে। এছাড়া পুরনো ধানও রয়েছে পর্যাপ্ত। এর প্রভাবে বাজারে দাম কমছে। আবার ভারত থেকে চাল আমদানিও বেড়েছে।

পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এসএম নিজাম উদ্দিন আজাদীকে বলেন, বাজারে চালের সরবরাহ রয়েছে তাই দাম নিম্নমুখী। বর্তমানে মোকামগুলোতে পর্যাপ্ত চাল রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৫০০০ কোটি টাকা ধার নিচ্ছে ইসলামি ধারার সাত ব্যাংক
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের নতুন ডিসি ফখরুজ্জামানের দায়িত্ব গ্রহণ