বাংলাদেশ শিশুসাহিত্য একাডেমির ব্যতিক্রমী আয়োজন

গৌতম কানুনগো | বৃহস্পতিবার , ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৬:২২ পূর্বাহ্ণ

গত ১২ই ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা ৬.১৫ মিনিটে চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজ নুরুননাহার মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিশু সাহিত্য একাডেমির উদ্যোগে “গল্প পাঠের আসর” অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতির আসন অলংকৃত করেন বাংলাদেশ শিশু সাহিত্য একাডেমির পরিচালক বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশু সাহিত্যিক রাশেদ রউফ এবং আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর রীতা দত্ত। স্বনামধন্য পাঁচ গল্পকার বিপুল বড়ুয়া “মধুফুলের গল্প” রুনা তাসমিনা” বৃষ্টির মুখে মিষ্টি হাসি” দীপক বড়ুয়া” অমিত ক্লাসের ফার্স্ট বয়” ইফতেখার মারুফ” রাসেলের ফুটবল” মিলন বাণিক” দ্যা গ্রেট ভোম্বল” হলভর্তি দর্শকদের সামনে গল্প পাঠ করে শোনান। দর্শক শ্রোতারা ও পাঁচ গল্পকারের গল্পগুলো অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে শোনেন। এ সময় মিলনায়তন জুড়ে ছিল পিনপতন নীরবতা। চট্টগ্রামে ছড়া, কবিতা পাঠের আসর অনেক হয়েছে কিন্তু গল্প পাঠের আসর- এই প্রথম। এ দিক দিয়ে শিশুসাহিত্য একাডেমি প্রশংসার দাবীদার। আলোচক প্রফেসর রীতা দত্ত প্রতিটা গল্প সম্বন্ধে ঋদ্ধ আলোচনা করেন। তিনি “ঠাকুরমার ঝুলি” ছুটি” সুয়ো রানী দুয়ো রানী” কাবুলীওয়ালা” এবং ছোট গল্পের বৈশিষ্ট্য ও সংজ্ঞা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন এবং ছোটদেরকে গল্প পড়ার উপদেশ দেন। সভাপতির বক্তব্যে রাশেদ রউফ বলেন, কবি রাহাত খানের উদ্যোগে অনেক আগে ঢাকায় “গল্প পাঠের আসর” অনুষ্ঠিত হয়েছিল, ছড়া ও কবিতার পাশাপাশি বাংলাদেশে গল্পের ভবিষ্যৎ উজ্বল। তিনি পঞ্চ গল্পকারকে দুটো করে বই উপহার দেন। শুরু থেকে শেষ অবধি কোন দর্শক শ্রোতাকে মিলনায়তন ত্যাগ করতে দেখা যায়নি। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক ইসমাইল জসীম। ঘড়ির কাঁটা যখন রাত ৮টার ঘরে ঠিক তখন সভাপতি অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আয়োজকদের জানাই অফুরন্ত ধন্যবাদ। আগামীতে শিশুসাহিত্য একডেমি আরো সুন্দর সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে- এটাই সাহিত্যপ্রেমীদের প্রত্যাশা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহৃদয়ে বসন্ত
পরবর্তী নিবন্ধসব মাধ্যমে ভাষার সুন্দর ও পরিশীলিত প্রয়োগ হোক ভাষার মাসে আমাদের অঙ্গীকার