বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা

চকরিয়া প্রতিনিধি | রবিবার , ২০ ডিসেম্বর, ২০২০ at ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ

দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বনাঞ্চলে একের পর এক বন্য হাতিসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী হত্যার ঘটনা রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর। বন, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষাসহ বনের প্রাণীগুলোকে নিরাপদ আবাসস্থল ফিরিয়ে দিতে নতুন করে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রতিটি বনবিটে, বিশেষ করে যেসব এলাকায় বন্য হাতির আবাসস্থল ও করিডোর রয়েছে তা সংরক্ষণ এবং বন্য হাতি লোকালয়ে নেমে আসলে ফের বনের মধ্যে কিভাবে ঢুকিয়ে দেওয়া যায় তার ওপর মহড়াসহ বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। গত ৭ ডিসেম্বর থেকে দশদিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা হয়েছে চকরিয়ার ডুলাহাজারাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে। এই প্রশিক্ষণে শিক্ষক, সাংবাদিক, ফরেস্টার, জনপ্রতিনিধি, ইআরটি সদস্য, মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৩০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও আবাসস্থল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা, সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিমালা বিষয়ক এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় একেবারে সরজমিন এবং হাতেকলমে। প্রশিক্ষণ শুরুর দিন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রামের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাছের মোহাম্মদ ইয়াছিন নেওয়াজ। এদিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপ-বনসংরক্ষক ড. তপন কুমার দে। পার্কের সহকারি তত্ত্বাবধায়ক মো. মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দশদিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীরা লব্ধ করতে পারে বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী পরিচিতি, ব্যবস্থাপনার কৌশল। বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষক ক্লাস নেন প্রতিদিন। প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী দিনে নেওয়া হয় দশদিন ধরে চলা প্রশিক্ষণের বিষয়ের উপর লিখিত পরীক্ষা। পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের ভিত্তিতে দেওয়া হয় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে পুরস্কার। এছাড়াও কুইজে উত্তীর্ণদের পুরস্কারসহ প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া সবাইকে দেওয়া হয় সার্টিফিকেট।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী দিদারুলের ওপর হামলার চেষ্টা
পরবর্তী নিবন্ধ‘সীতাকুণ্ডকে সন্ত্রাসমুক্ত ও পর্যটনবান্ধব পৌরশহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে’