বঙ্গবন্ধু ছিলেন নির্যাতিত জাতিসমূহের মুখপাত্র

মুজিব-ইন্দিরা স্মৃতি প্রণোদনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী

আজাদী ডেস্ক | শনিবার , ১৩ আগস্ট, ২০২২ at ৭:৫১ পূর্বাহ্ণ

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শোষিত, নির্যাতিত, শৃঙ্খলিত বাঙালি জাতির ২৪ বছরের সংগ্রাম এবং ’৭১-এর রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছিল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। বঙ্গবন্ধুর বিশ্বশান্তি, সমপ্রীতি ও মানবতার দর্শন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছিল তাঁর জীবদ্দশায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে মুক্তিসংগ্রামে বঙ্গবন্ধু ছিলেন নির্যাতিত জাতিসমূহের মুখপাত্র। আমাদের চরম দুর্ভাগ্য ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানপ্রেমী মৌলবাদী সামপ্রদায়িক অপশক্তি সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে আলোকাভিসারী এক জাতিকে পশ্চাৎপদতার অন্ধকারে নিক্ষেপ করেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এ কে ফজলুল হক চেয়ারম্যান স্মৃতি গণপাঠাগারের উদ্যোগে এবং আমরা করবো জয়-এর সার্বিক সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর মধ্যে ‘মুজিব-ইন্দিরা স্মৃতি প্রণোদনা’ অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমরা করবো জয়-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শওকত বাঙালির সভাপতিত্বে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে এই আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আসাদুর রহমান কিরণ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, পিএইচপি ফ্যামেলির চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান, ঢবি অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পায়ন ও ডিবি) সুজন চন্দ্র সরকার, যুবলীগ নেতা দিদারুল আলম দিদার, সাংবাদিক মহসিন কাজী, নির্মূল কমিটির দীপংকর চৌধুরী কাজল, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ওসমান গণি লিটন, চসিক কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল, লেখক মোস্তাক আহম্মদ প্রমুখ।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিসংখ্যানবিদ শওকত আল-আমিনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন-মো. সাজ্জাদ উদ্দিন, মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, হাবিব উল্ল্যাহ চৌধুরী ভাস্কর, এ কে এম জাবেদুল আলম সুমন, মিথুন মল্লিক, অ্যাডভোকেট মো. সাহাব উদ্দিন, সূচিত্রা গুহ টুম্পা, রুবেল চৌধুরী, রাজীব চৌধুরী, আকিব জাবেদ, মুক্তা হাওলাদার, আজমীরুল ইসলাম, কবি আজাদ বাকী, দর্পন সাহা, অ্যাডভোকেট মিশকাতুল কবির, শওকত হাসান, শওকত হাফেজ, কামরুল আলম মিন্টু, নোমান তালুকি, সজল দাশ, নাঈম আশরাফ অভি, ডা. শাকিব খান, ডা. আবু জাফর প্রমুখ।
আয়োজনে একক কবিতা আবৃত্তিতে অংশ নেন আবৃত্তিশিল্পী ও গবেষক ডালিয়া বসু সাহা। অনুদানপ্রাপ্ত সংগঠনগুলো হচ্ছে-চট্টগ্রাম লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র, চট্টগ্রাম চলচ্চিত্র কেন্দ্র, সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান, পান্থজন, রহমতউল্ল্যা চৌধুরী ফাউন্ডেশন, শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ-আন্দরকিল্লা, ইহাম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, ডাব্লিউএসও ফাউন্ডেশন, অর্থ পরিচালক শিরিন হক, শৈশব, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ, রাউজান। এসব সংগঠনের প্রধান ও প্রতিনিধিবৃন্দ অনুদান গ্রহণ করেন।
জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান বলেন, একটি ধর্মান্ধ গোষ্ঠী ধর্মকে ব্যবহার করে সমাজকে বিভাজিত করার অপচেষ্টা করছে। বঙ্গবন্ধু এসবের বিরুদ্ধে ছিলেন। তাঁর দর্শনের প্রধান উপাদান ধর্ম-নিরপেক্ষতা। বঙ্গবন্ধু সমাজতন্ত্রবাদী মানুষ ছিলেন। তিনি একই সাথে গণতন্ত্রকামী ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন গণতন্ত্র দিয়ে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভর্তি পরীক্ষার জন্য ১৬ দিন বন্ধ চবির ক্লাস
পরবর্তী নিবন্ধবাড়ির গেটের সামনেই কুপিয়ে হত্যা