বঙ্গবন্ধুকন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন গণতন্ত্রের অগ্নিবীণার ফিরে আসা : তথ্যমন্ত্রী

| বৃহস্পতিবার , ১৮ মে, ২০২৩ at ৫:৩২ পূর্বাহ্ণ

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে পদার্পণের পর দেশে গণতন্ত্রের সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাই ’৮১ সালের ১৭ মে শুধু ব্যক্তি শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুকন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নয়, গণতন্ত্রের অগ্নিবীণার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন।

তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ফিরে আসার পর তার হাত ধরে গত ৪২ বছরে বাঙালির জীবনে, বাংলাদেশের মানুষের জীবনে, বাংলাদেশের ললাটে অনেক নতুন তিলক উঠেছে, বাংলাদেশ অনেক অর্জন করেছে।

মন্ত্রী গতকাল বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতায় এ কথা বলেন। দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপির সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উলআলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি প্রমুখ সভায় বক্তৃতা দেন। খবর বাসসের।

হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর স্বাধীনতার চেতনাকে ভুলুণ্ঠিত করা হয়েছিলো, বাংলাদেশে পাকিস্তানি ভাবধারা ফিরিয়ে আনা হয়েছিলো, অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধুলিস্যাৎ করা হয়েছিলো। জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই হারানো স্বাধীনতার চেতনাকে আবার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে আবার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ রচিত হয়েছে। তাই ১৯৮১ সালের ১৭ মে গণতন্ত্রের অগ্নিবীণা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রত্যাবর্তন।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু এই দেশ রচনা করে গেছেন তা নয়, তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি উন্নত, সমৃদ্ধ দেশের। তিনি সেই স্বপ্ন পূরণ করে যেতে পারেননি। কারণ বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার পর সাড়ে তিন বছরের মাথায় হত্যা করা হয়েছিলো। আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই খাদ্য ঘাটতির দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানবউন্নয়ন, সামাজিক, অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্য সূচকসহ সমস্ত সূচকে আমরা পাকিস্তানকে অনেক আগেই অতিক্রম করেছি। এখানেই আমাদের সার্থকতা।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিলেন জিয়াউর রহমান। আর সেই জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তার পুত্রের পরিচালনায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছে। বারবার একে একে ২১ বার আমাদের নেত্রীকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। মৃত্যুঞ্জয়ী জননেত্রী শেখ হাসিনা বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে এসে দ্বিধান্বিত বা বিচলিত হন নাই, থমকে যান নাই বরং আরো দীপ্ত পদভারে বাংলাদেশের মানুষের সংগ্রামের কাফেলাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রত্যাবর্তনের দিনের শ্লোগান ‘ঝড়বৃষ্টি আঁধার রাতে শেখ হাসিনা আমরা আছি তোমার সাথে’ স্মরণ করে আবারও আগামী নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬