দেশ, জাতি, বুদ্ধিজীবী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের ইমেজ ক্ষুণ্ন করে ইউটিউব ও ফেসবুকে ভুয়া নিউজ, ছবি, ভিডিওর ছয়টি লিংক সরাতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ গতকাল মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করে এমন উসকানিমূলক ভিডিও সরাতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। খবর বাসসের।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট মুন্সী মনিরুজ্জামান, এডভোকেট ইউসুফ খান ও ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী এটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ। আদেশ বাস্তবায়নের প্রতিবেদন দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। এর আগে গত ২১ আগস্ট সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী নিলুফার আনজুম ও ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী মো. আশরাফুল ইসলামের পক্ষে আইনজীবী আরাফাত হোসেন খান সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠান।
ই-মেইল ও রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব, নিরাপত্তা সেবা বিভাগের সচিব, বিটিআরসি, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক, ইউটিউব এলএলসি, মেটা প্ল্যাটফর্ম, ইনক (ফেসবুক), মেটা প্ল্যাটফর্মের (ফেসবুক) বাংলাদেশের হেড অব পাবলিক পলিসি শাবনাজ রশিদ দিয়া বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে বলা হয়, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী, দর্শক ও গ্রাহক বেড়েছে। কিন্তু কনটেন্ট নিয়ে ফেসবুক ও ইউটিউব বাংলাদেশে তাদের সুপারভাইজরি ম্যাকানিজম বা নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করেনি। যেখানে দেশে ও দেশের বাইরে ইউটিউব ও ফেসবুক থেকে ভুয়া নিউজ, ছবি, ভিডিও প্রচার করে দেশ, জাতি, বুদ্ধিজীবী, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের ইমেজ ক্ষুন্ন করছে।
এ অবস্থায় নীতিমালার অভাবে কোনো ফ্যাক্টচেক ছাড়া ফেসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমে ভুয়া নিউজ ছড়াচ্ছে। এটি বাংলাদেশের টেলিকমিউনিকেশন আইনের ৬৪, ৯৭ এ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮ ও ২৫, আইসিটি আইনের ৪৬ ধারার এবং সংবিধানের ২৭, ৩১, ৩৯ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। নোটিশে ফেসবুকে প্রচারিত কয়েকটি ভুয়া তথ্যের লিংকও উল্লেখ করা হয়েছে।
অবিলম্বে এসব লিংক ব্লক ও সরাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, ইউটিউব ও ফেসবুকের কার্যক্রম মনিটর, আইন অনুসারে প্রতিনিয়ত প্রতিবেদন দাখিল এবং অনলাইনের সব নিউজ পোস্ট, ভিডিও লিংকের ভেরিফাইয়ের বিষয়ে আইন অনুসারে জবাবদিহিতার ম্যাকানিজম তৈরি করতে বলা হয়েছে। নেটিশের আলোকে পদক্ষেপ না নেয়ায় তারা রিট করেন।