ব্যাংকিং চ্যানেলে সদ্য সমাপ্ত ফেব্রুয়ারি শেষে রেমিটেন্স এসেছে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার, আগের বছরের একই মাসের চেয়ে প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৮ শতাংশ। প্রবাসী আয়ের নাজুক অবস্থা গত কয়েক মাসে কিছুটা কাটিয়ে ওঠার মধ্যে এ পরিমাণ রেমিটেন্স চলতি ২০২৩–২৪ অর্থবছরে একক মাসে সর্বোচ্চ।
এর আগের মাস জানুয়ারিতে চলতি অর্থবছরে প্রথমবারের মতো দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়, প্রবাসীদের ও তাদের সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে জমা হয় ২১১ কোটি ৩১ লাখ ডলার। আর ২০২২–২৩ অর্থবছরের শেষ মাস জুনের পর সদ্য সমাপ্ত ফেব্রুয়ারিতে এতটা বেশি রেমিটেন্স এল। গত জুনে এসেছিল ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার। গতকাল সোমবার রেমিটেন্সের হালনাগাদ তথ্য দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে আসা রেমিটেন্স ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের চেয়ে ৬০ কোটি ৫৫ লাখ ডলার বা ২৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেশি। খবর বিডিনিউজের।
গত ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ১৫৬ কোটি ডলার এসেছিল দেশে। ওই সময় দৈনিক গড়ে রেমিটেন্স এসেছিল পাঁচ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। রেমিটেন্সের এই উল্লম্ফনের পর রিজার্ভ বেড়ে গ্রস হিসাবে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ছিল ২৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার। বিপিএম ৬ পদ্ধতির গ্রস হিসাবে তা ২১ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার। সাধারণত রোজা, ঈদ, বাংলা নববর্ষকে ঘিরে প্রবাসীরা অন্য সময়ের চেয়ে বেশি অর্থ দেশে পাঠিয়ে থাকেন। এবার মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে রোজা শুরু হতে যাচ্ছে। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে হবে ঈদ। এতে চলতি মাসের পাশাপাশি আগামী মাসেও রেমিটেন্স প্রবাহ আরো বাড়তে পারে আশা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারি প্রথম সপ্তাহে দেশে রেমিটেন্স আসে ৬৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার, দ্বিতীয় সপ্তাহে ৫১ কোটি ৮২ লাখ, তৃতীয় সপ্তাহে তা হয় ৪৯ কোটি ৬১ লাখ ডলার ও শেষ সপ্তাহে আসে ৫১ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। গত পাঁচ মাস ধরেই ইতিবাচক ধারায় থাকা রেমিটেন্স প্রবাহের গতি একটু একটু করে বাড়ছে। যদিও চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে নেতিবাচক ধারায় ছিল। ফেব্রুয়ারির রেমিটেন্স নিয়ে চলতি ২০২৩–২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি আট মাসে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট আয় দেশে পাঠিয়েছেন ১৫ দশমিক শূন্য ৮ বিলিয়ন ডলার। গত ২০২২–২৩ অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ১৫ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলার। ওই অর্থবছরে মোট ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছিল, প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ।