খাগড়াছড়ির মাটিরাঙায় কিশোরী সুমাইয়া আক্তার সেতু হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সকালে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার নাইমুল হক জানান, ভিকটিম সুমাইয়া আক্তার সেতুর সঙ্গে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ নিয়ে তার দুলাভাই মঞ্জুর আলী সাগরের সঙ্গে প্রায়ই বাকবিতণ্ডা হত। ঘটনার দিন সুমাইয়াকে তার প্রেমিকের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতে দেখে সাগর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এসময় সাগর ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুমাইয়াকে মাথায়, হাতে ও শরীরের নানা অংশে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় ভিকটিমের পিতা আবদুর রহমান মিয়া বাদী হয়ে মাটিরাঙা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। আসামির ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেলের সূত্র ধরে মঙ্গলবার রাত ২টার পর মাটিরাঙা বাজার থেকে সাগরকে গ্রেপ্তার করে মাটিরাঙা থানা পুলিশ। পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে সাগর। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রেপ্তার সাগরকে আদালতে তোলা হবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে খেদাছড়া আমবাগান এলাকা থেকে কিশোরী সুমাইয়া আক্তার সেতুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।