প্রসঙ্গ : দুদক ও জরিমানা

| শুক্রবার , ৫ এপ্রিল, ২০২৪ at ৬:১০ পূর্বাহ্ণ

জরিমানা করে যদি দুর্নীতি দমন করা যায় তাতে কোন আপত্তি নেই। কিন্তু দেখা যায় জরিমানার পরও ব্যবসায়ীরা বহাল তবিয়তে দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে তাহলে আমাদের প্রশ্ন জরিমানা মানে দুদকের টাকা রোজগারের একটা উপায় নয়তো? দেখা যায় রমজান মাস এলেই অনেক ব্যবসায়ীকে দুর্নীতির দায়ে জরিমানা করা হয়। দেখা হয় নোংরা জায়গায় সেমাই বানাচ্ছে যাতে করে লক্ষ লক্ষ ক্রেতারা ঘৃণাভরে তা প্রত্যাখান করে। সারা বছর ব্যবসায়িরা দুর্নীতি করে তবে রমজান মাসে কেন শুধু তাদের দিকে নজর দেয়া হয় বেশি? রমজানের পবিত্রতা ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কথা মাথায় রেখে ব্যবসা করার জন্য রমজানের আগে ব্যবসায়ীদের একটা জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয় না বুঝি? যদি নির্দেশনা দেওয়া হয় তাহলে তা প্রতিটি ব্যবসা কেন্দ্রে টাঙানো থাকা উচিত বলে মনে করি। ব্যবসায়ীরা কী করে শাসন অমান্য করে? যদি প্রকৃত অর্থে তাদের শাসন করা হয়। আমার মতে জরিমানা একটা শাসন নয় সমাধানও নয়। লোক দেখানো লোক ঠকানো ঐরূপ শাসন থেকে দুদককে বেরিয়ে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি। নকল ও ভেজাল ওষুধ সারা বছর দেদারছে বিক্রি হচ্ছে ক্রেতারা সেটি জানে না। যারা জানে তারা নীরব থাকার কারণ কী? ক্রেতাদের কাছে তা অজানাই থেকে গেল। দেশের ব্যবসায়ীদের দাপট জরিমানা দেওয়ার পরও বহাল তবিয়তে থেকে যায় কী করে? জানতে চায় এদের সাধারণ জনগণ।

করুণা আচার্য

চট্টগ্রাম ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় : অপ্রতিদ্বন্দ্বী কথাসাহিত্যিক
পরবর্তী নিবন্ধপাখি আমার নীড়ের পাখি