স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় প্রায় তিন বছর সাত মাস পর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার।
আজ বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে পুলিশ পাহারায় সিলভার রঙের একটা প্রাইভেটকারে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি বের হন; এসময় কারও সঙ্গে তিনি কথা বলেননি।
মুক্তি সময় কারাগারে বাবুলের বর্তমান স্ত্রী ইসরাত জাহান মুক্তা ও স্বজনরা হাজির হন।
বাবুল আক্তারের আইনজীবী কফিল উদ্দীন চৌধুরী বলেন, উচ্চ আদালতে বাবুল আক্তারের জামিন আদেশের পর তার সাবেক শ্বশুর মোশারফ হোসেন জামিনের স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেছিলেন। বুধবার চেম্বার জজ আদালত আবেদনটি খারিজ করে দেন। ফলে বাবুল আক্তারের মুক্তি পেতে আর বাধা নেই।
“মামলায় ভবিষ্যতে নিয়মিত হাজিরার শর্তে বাবুল আক্তার মুক্তির আদেশ দিয়েছে আদালত। আদেশের কপি কারাগারে পাঠানোর পর তিনি মুক্ত হয়েছেন।”
আইনজীবী কফিল উদ্দিন বলেন, উচ্চ আদালত জামিনের আদেশ দিয়েছে, জজ আদালত রিলিজ অর্ডার দিয়েছে। আইন অনুযায়ী আদালতের স্থগিতাদেশ ছাড়া লয়ার সার্টিফিকেট দিয়ে কাউকে আটকে রাখাটা অবৈধ।
গত ২৭ নভেম্বর হাই কোর্ট থেকে জামিন পান সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার।
বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ বাবুলের জামিন আদেশ দিলে তার মুক্তির পথ খোলে।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সে সময়কার চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এসপি বাবুল আক্তার ওই ঘটনার কিছুদিন আগেই চট্টগ্রাম থেকে বদলি হন। তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে যোগ দিতে যাওয়ার পরপরই চট্টগ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সে সময়কার চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এসপি বাবুল আক্তার ওই ঘটনার কিছুদিন আগেই চট্টগ্রাম থেকে বদলি হন। তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে যোগ দিতে যাওয়ার পরপরই চট্টগ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
ঘটনার পর টানা সাড়ে তিন বছর তদন্ত করেও ডিবি পুলিশ কোনো কূলকিনারা করতে না পারার পর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।