পেকুয়ায় বিকাশের বিতরণ অফিসের ভল্ট ভেঙে ৪৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা লুট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সিসিটিভি’র ফুটেজে দেখা গেছে, গতকাল বুধবার (৭ জুলাই) রাত ৯টার দিকে এক যুবক মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে উপজেলা সদরের আলহাজ কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের পূর্বপাশের ইসমাঈল ম্যানশনের ৩য় তলায় অবস্থিত বিকাশের বিতরণ অফিসের সামনে গিয়ে প্রথমে বৈদ্যুতিক সুইচটি বন্ধ করে দেয়। এরপর সবকিছু অন্ধকার হয়ে যায়।
পরবর্তী ঘটনা সম্পর্কে ওই বিতরণ অফিসে কর্মরত সুপারভাইজার রেজাউল করিম জানান, রাত ৯টার দিকে অফিসের ৪ জন কর্মচারী সহ তারা হোটেলে রাতের খাবার খেতে যান। এই সুযোগে চোরের দল বৈদ্যুতিক লাইন বন্ধ করে দিয়ে অফিসের গ্রিলের ৪টি তালা কেটে টাকার ভল্ট ভেঙে নগদ ৪৬ লাখ ৫০ হাজার লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। অফিসের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় যেটুকু দেখা যাচ্ছে সিই অনুযায়ী জিন্স, টি-শার্ট এবং মাথায় হেলমেট পরিহিত সুঠাম দেহের এক যুবক মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে অফিসের দরজার সামনে এসে প্রথমে বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ করে দেয়।
সাতকানিয়া উপজেলার আল আমিন নামের এক ব্যক্তি বিকাশের পেকুয়া উপজেলার পরিবেশক। আর সেটি পরিচালনা করেন তার ছোট ভাই জাহেদুল ইসলাম।
পরিবেশক আল আমিন বলেন, “চোরের দল আমার অফিসের টাকার ভল্ট ভেঙে আমাদের কালেকশনের প্রায় ৪৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আমরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আশা করি, ভিডিও ফুটেজ দেখে পুলিশ দ্রুত চোরদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনবে।”
এদিকে দুর্ধর্ষ এ চুরির ঘটনার পর পেকুয়া থানা পুলিশ কয়েক দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) রাত ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখার আগ পর্যন্ত চুরি হওয়া টাকা ও ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে থানা পুলিশ বলছে তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম মজুমদার বলেন, “আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার করে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এছাড়া থানার দুইজন অফিসার চুরির রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছেন।”