‘পিকে হালদারের হিসাবে ৬০৮০ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন’

সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

| শুক্রবার , ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৪:৩৫ পূর্বাহ্ণ

নিজের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ছয় হাজার ৮০ কোটি টাকার অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও অস্বাভাবিক লেনদেন করেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদার। এছাড়া তিনি ৪২৫ কোটি টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দিতে একথা বলেন মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। খবর বাংলানিউজের।
এদিন বাদী সালাহউদ্দিনের জবানবন্দি গ্রহণ শেষ হয়। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী ও শাহিনুর ইসলাম জেরার জন্য সময় চাইলে আদালত ১৩ অক্টোবর জেরার জন্য দিন ধার্য করেন। দুদক কৌঁসুলী মীর আহম্মেদ আলী সালাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার বাদী সালাউদ্দিন তার জবানবন্দিতে বলেন, শুরুতে প্রাথমিক অনুসন্ধানে আমরা তার ২৮৩ কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পাই। যার মধ্যে ১২ কোটি টাকা তিনি দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন হিসেবে নেন। বাকি ২৭৪ কোটি টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।
তিনি আরও বলেন, মামলাটি তদন্তকালে দেখা যায় পিকে হালদারের অবৈধ সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪২৫ কোটি টাকা। তাছাড়া তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৬ হাজার ৮০ কোটি টাকার অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও অস্বাভাবিক লেনদেন হয়। যার মাধ্যমে তিনি দুদক আইনের ২৭(১) ধারায় অপরাধ করেছেন।
জবানবন্দিতে দুদকের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, আসামি পিকে হালদার তার অর্জিত সম্পদের মধ্যে ১ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা কানাডার অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করেন। স্থানান্তরিত টাকার মধ্যে তার নিজ নামে ২৪০ কোটি ও মায়ের নামে ১৬০ কোটি টাকা রয়েছে। বাকি টাকা তার আত্মীয় স্বজন ও দুটি প্রতিষ্ঠান এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের নামে আছে। যার মাধ্যমে তিনি মানি লন্ডারিং আইনের ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অপরাধ করেছেন।
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর পি কে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত। ওইদিনই সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
সাক্ষ্যগ্রহণের সময় কারাগারে থাকা সুকুমার মৃধা, তার কন্যা অনিন্দিতা মৃধা, শক্সখ ব্যাপারী ও অবন্তিকা বড়াল সাক্ষ্যগ্রহণের সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।
ফের জেল হেফাজতে পাঠাল কলকাতার আদালত : এদিকে, গতকাল পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতার একটি বিশেষ আদালত। আগামী ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের পলাতক এই আসামিদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসত্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধফেসবুক-টিকটকে ‘ক্লান্ত’ তরুণ প্রজন্ম : রাষ্ট্রপতি