পান দোকানদার সেজে আসামি ধরল পুলিশ

৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, রয়েছে ১৯ মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ

পান দোকানদার সেজে ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎকারী শাহ জামাল (৫৫) নামে ১৯ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে অবশেষে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় চকবাজারের চন্দনপুরা এলাকার সাফরান ভিলার দ্বিতীয় তলার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শাহ জামাল চন্দনপুরার শেখ আহম্মদের ছেলে। চট্টগ্রাম তথা দেশের বৃহত্তর পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের শেখ মার্কেটের মেসার্স শাহ জামাল ট্রেডার্সের সত্বাধিকারী শাহ জামাল। প্রতারণার দায়ে গ্রেপ্তার হওয়ার পর জামিনে বেরিয়ে আবারও মেতে উঠেন তিনি প্রতারণায়। এবারে চট্টগ্রামে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর ৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ৪টি সিআর সাজা ও ৩টি সিআর গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ কোতোয়ালী ও চকবাজার থানায় মোট ১৯টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। অবশেষে পুলিশ পানের দোকানদার সেজে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন আজাদীকে বলেন, শাহ জামাল খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকার উপরে আত্মসাৎ করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। শাহ জামালকে ২০২০ সালে ১৬টি সিআর মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মূলে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু জামিনে বের হয়ে তিনি পুনরায় বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। ওসি নেজাম আরও বলেন, নিজেকে আড়াল করার জন্য দেশে থেকেই শাহ জামাল বিদেশ চলে গেছেন বলে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর নিকট প্রচার করেছিলেন। তার এক ছেলে অস্ট্রেলিয়া ও এক ছেলে কানাডায় থাকে। যে কারণে অনেকে তার বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি বিশ্বাস করে। কিন্তু শাহ জামাল বিদেশে না গিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে থাকতেন।
শাহ জামালকে গ্রেপ্তরের জন্য কোতোয়ালী থানার এএসআই সাইফুল আলম ও এএসআই রণেশ বড়ুয়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে খুঁজতে থাকেন। তারা কখনো পান দোকানদার, কখনো চা দোকানদার, কখনো মার্কেটিং কোম্পানির সেলসম্যান পরিচয়ে খাতুনগঞ্জ, আসদগঞ্জ, চকবাজার, চন্দনপুরা ও আন্দরকিল্লা এলাকায় খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা জানতে পারেন, আসামি শাহ জামাল তার বাসায় অবস্থান করছেন। এ তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে পুলিশ সদস্যরা আসামির বাসার সামনে ভাসমান পান দোকানদার সেজে অবস্থান করেন। পরে তার বাসায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। অভিযানে বাসার ভেতরে থাকা একটি সানসেট বঙের ভেতর থেকে জামালকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বিকেলে তাকে আদালতে চালান করা হয় বলে জানান ওসি নেজাম উদ্দিন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআজ থেকে আবারও শুরু হচ্ছে টিসিবির পণ্য বিক্রি
পরবর্তী নিবন্ধলাল কাপড়ে মোড়ানো মৃত্যুদণ্ডাদেশের নথি যাবে হাইকোর্টে