পহেলা বৈশাখ বাঙালির সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের একটি অংশ

সীতাকুণ্ডে ছোটদের বর্ষবরণে এমপি মামুন

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ at ৭:২০ পূর্বাহ্ণ

পহেলা বৈশাখ বাঙালির কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এদিনে বাঙালিরা নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। নতুন বছরের সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করে। বাংলা নববর্ষ জাতিধর্মবর্ণ নির্বিশেষে আমাদের একসঙ্গে একই পথে চলতে অনুপ্রেরণা দেয়। গত রোববার সীতাকুণ্ড মেঘমল্লার খেলাঘর আসর ও সুরাঙ্গন খেলাঘর আসরের যৌথ উদ্যোগে ছোটদের বর্ষবরণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধক মহানগরী খেলাঘর আসরের সভাপতি ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন। দিনব্যাপী খেলাঘর আসরসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা নববর্ষের সংগীত পরিবেশন করেন। সকালে বণার্ঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা পৌরসদর প্রদক্ষিণ করেন।

বিকেলে সীতাকুণ্ড পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে সুরাঙ্গন খেলাঘর আসরের সভাপতি দেবাশিস ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে এবং মেঘমল্লার খেলাঘর আসনের সভাপতি তপন মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য এস এম আল মামুন। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখের এ ঐতিহ্য আমাদের ধরে রাখতে হবে। কোনো জাতি যদি তার ইতিহাস বা সংস্কৃতি ভুলে যায় তাহলে সেই জাতি বেশি দিন টিকে থাকতে পারে না।নববর্ষ বাংলার গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে এম রফিকুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য আ ম ম দিলসাদ, সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার চৌধুরী, মহানগর খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদুল আলম। বক্তব্য রাখেন প্রিন্স রুবেল, খালেদ মোশারফ, পরেশ দাশগুপ্ত, রিকু ভট্টাচার্য, অধ্যাপক উত্তম চৌধুরী, মুন্নি সেন প্রমুখ। শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদ্বীপ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনে সংসদকে পরামর্শ প্রদান করে হাইকোর্ট রায়
পরবর্তী নিবন্ধ‘ঐতিহ্যমণ্ডিত পুরাকীর্তি সংরক্ষণে সহযোগিতা প্রদান করা হবে’