পতেঙ্গা সৈকতের একাংশ ইজারা দিলে বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা সৃষ্টি হবে

সেমিনারে আনু মুহাম্মদ

| শনিবার , ১৪ মে, ২০২২ at ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের একাংশ উন্নয়নের নামে ইজারাদান ও টিকেট ধার্য করলে সর্বজনের স্বীকৃত প্রবেশাধিকার হরণ হবে। প্রাকৃতিক সৈকতের বিকৃতি ঘটবে। একই সৈকতে দুই ধরনের বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। আমার কাছে চট্টগ্রাম ছিল শ্বাস নেবার শহর, প্রাণ বৈচিত্র্য, ভূমি বৈচিত্র্য আর পাহাড় সমতলের অপূর্ব সমন্বয়। গত কয় বছরে এই শহর ক্রমে বিভীষিকায় পরিণত হয়েছে, ঢাকার মতো এক অসুস্থ নগরীতে পরিণত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে বাসদ (মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে এক সেমিনারে অর্থনীতিবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এ বক্তব্য রাখেন।

বাসদের (মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলা আহ্বায়ক কমরেড মানস নন্দীর সভাপতিত্বে ‘সর্বজনের অধিকার, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত বেসরকারিকরণ’ শীর্ষক এ সেমিনার আরো বক্তব্য রাখেন কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও সিআরবি রক্ষা মঞ্চের সমন্বয়ক ডা. মাহফুজুর রহমান, পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সহ-সভাপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া। সেমিনার সঞ্চালনা করেন দলের জেলা সদস্য সচিব শফি উদ্দিন কবির আবিদ। মূল আলোচকদের বক্তব্যের পর উম্মুক্ত আলোচনার পর্বে মতামত রাখেন গণমুক্তি ইউনিয়নের সভাপতি রাজা মিঞা, সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর।

সাংবাদিক ও কবি আবুল মোমেন বলেন, চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য, বিশেষত পাহাড়, টিলা ও উপত্যকা নিয়ে গঠিত ভূমি এবং নদী-সমুদ্র-বনানী বেষ্ঠিত নৈসর্গিক রূপ যুগে যুগে পর্যটকদের মুগ্ধ করেছে। ফয়েজ লেকের মতো এখন পতেঙ্গা সৈকত বিত্তবানদের বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হোক, তা আমরা হতে দিতে পারি না। তাই ‘পতেঙ্গা সৈকত বাঁচাও, সর্বোপরি চট্টগ্রাম বাঁচাও’ আন্দোলন করতে হবে।

ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, লুটপাটকারী মাফিয়া গোষ্ঠীর লোলুপ দৃষ্টি এখন সিআরবির পর পড়েছে পতেঙ্গা সৈকতের উপর। নগর উন্নয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সিডিএর কোনো মালিকানা ও অধিকার নেই উম্মুক্ত সৈকতকে ইজারা দেয়ার। আন্দোলনের মাধ্যমে এ চক্রান্ত প্রতিহত করা হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভারত থেকে পালিয়ে উখিয়ায় ১১ রোহিঙ্গা
পরবর্তী নিবন্ধ৫৪ হাজার কর্মীকে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা করে বোনাস সংস্থার