পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনালে ভিড়বে এবার বড় জাহাজ

২৬ ফেব্রুয়ারি নোঙর করবে এমভি মেঘনা প্রিন্সেস

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ

বেশ কয়েকটি ছোট জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের পর পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনালে (পিসিটি) এবার বড় জাহাজের বার্থিং দিতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা না হলেও বন্দরের নবনির্মিত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই কন্টেনার টার্মিনালে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০ মিটার ল্যান্থ এবং ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ানোর কথা রয়েছে। কন্টেনার টার্মিনাল হলেও খোলা পণ্যবাহী বড় জাহাজ বার্থিং দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশি পতাকাবাহী এবং মেঘনা গ্রুপের মালিকানাধীন এমভি মেঘনা প্রিন্সেস নামের জাহাজটি ২৬ ফেব্রুয়ারি পিসিটিতে নোঙর করার কথা রয়েছে। এরপর থেকে এই টার্মিনালে নিয়মিত জাহাজ ভিড়ানো হবে বলেও সূত্র আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। সূত্র জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অধীনে ৭টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনাল নির্মাণ সম্পন্ন করে। বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে ১ হাজার ২৩০ কোটি টাকার প্রকল্পটির শেষ মুহূর্তের কাজগুলো করতে রাতে দিনে কাজ করা হচ্ছে।

পতেঙ্গার ড্রাইডক থেকে বোট ক্লাব পর্যন্ত রাস্তার পাশের ৩২ একর জায়গা বন্দরের কোনো কাজে ব্যবহৃত হয়নি দীর্ঘদিন। বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকা ভূমিটি বন্দর কর্তৃপক্ষ ফিরিয়ে নেয় এবং ড্রাইডক থেকে বোট ক্লাব পর্যন্ত রাস্তটি সোজা করে দিয়ে উদ্ধার করা হয় উক্ত ভূমি। এই ভূমিতে ১৬ একর ইয়ার্ড ছাড়াও বিভিন্ন পশ্চাদসুবিধাসহ ৬০০ মিটার জেটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটিই পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনাল বা পিসিটি। এখানে সাড়ে চার হাজার টিইইউএস কন্টেনার রাখা যাবে এবং বছরে গড়ে সাড়ে চার থেকে পাঁচ লাখ টিইইউএস কন্টেনার হ্যান্ডলিং করা যাবে। এই টার্মিনালে ১৯০ মিটার লম্বা ও ১০ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের তিনটি কন্টেনারবাহী জাহাজ ভিড়ানো যাবে। এছাড়া ২২০ মিটারের একটি ডলফিন জেটিও প্রকল্পটিতে রয়েছে।

গত বছরের জুলাই মাসে এই টার্মিনাল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন এবং জাহাজ ভিড়ানো শুরু করার উদ্যোগ নেয়া হলেও কিছু সমস্যার কারণে সম্ভব হয়নি। তবে বার্মা থেকে আমদানিকৃত সরকারি চাল নিয়ে আসা বেশ কয়েকটি ছোট জাহাজ এই টার্মিনালে হ্যান্ডলিং করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০ মিটার লম্বা এবং ১০ মিটার ড্রাফটের একটি বড় জাহাজ এখানে ভিড়ানো হবে। এই জাহাজটি ভিড়ানোর পরপরই পিসিটিতে ক্রমান্বয়ে অন্যান্য জাহাজ হ্যান্ডলিং শুরু করা হবে বলেও সূত্র জানিয়েছে। সামনের দিনগুলোতে এই টার্মিনালে অনায়াসে ১০ মিটার ড্রাফটের ২০০ মিটার লম্বা জাহাজ বার্থিং দেয়া হবে। বড় জাহাজ ভিড়ানোর কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হলে চট্টগ্রাম বন্দরে বৈদেশিক বাণিজ্য অনেক বেশি গতিশীল হবে বলেও সূত্র আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের ১৯০ মিটার লম্বা জাহাজ যেখানে সর্বোচ্চ ২২শ টিইইউএস কন্টেনার পরিবহন করতে পারে সেখানে ১০ মিটার ড্রাফটের ২০ মিটার লম্বা জাহাজে অন্তত তিন হাজার টিইইউএস কন্টেনার পরিবাহিত হবে। যা বন্দরে কন্টেটনার হ্যান্ডলিং এর ক্ষেত্রেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকানাডায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধচসিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা, জানতে চায় মন্ত্রণালয়