প্রেমের বলি হলেন পটিয়ায় শহীদুল ইসলাম (২৬) নামের এক ছাত্রলীগ নেতা। তিনি উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের আবদুল খালেক চেয়ারম্যানের বাড়ির মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঘরের নিজ শয়ন কক্ষের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে তিনি আত্মহত্যা করেন। ঝুলন্ত লাশটি জানালা দিয়ে তার পরিবারের এক শিশু দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। তারা এসে শহীদকে প্রথমে পটিয়া জেনারেল হাসপাতাল ও পরে পটিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক শহীদকে মৃত ঘোষণা করেন। শহীদ উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
মৃত্যুর একদিন পূর্বে তিনি ফেসবুক পেইজে স্ট্যাটাস দেন, ‘দুনিয়াটা আল্লাহর রহমতে ঘেরা। কিন্তু দুনিয়ার মানুষগুলা অহংকারে সেরা। দুদিন পূর্বে স্ট্যাটাস দেন, হাজার খুশিকে হার মানিয়ে দে, তোমার দেওয়া খুশিটা’। শহীদের বড় ভাই মো শাহাজাহান জানান, তার অপর ভাই লিটনের শ্যালিকার সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা শহীদের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ সম্পর্ক তাদের পরিবারের কেউ মেনে নিতে পারেনি। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল। পরিবারের সদস্যদের প্রতি আচরণে অসন্তুষ্ট হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজ কক্ষের ফ্যানের সঙ্গে ফাঁসিতে ঝুলে সে আত্মহত্যা করেছে। তবে এ বিষয়ে তার পরিবারে কোন ধরনের বিবাদ বা বাড়াবাড়ি হয়নি বলেও তিনি জানান।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা শহীদ আত্মহত্যা করেছে।