পটিয়ায় কলেজ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা

পারিবারিক বিরোধের জের

পটিয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ৩ জুন, ২০২৩ at ৫:০৬ পূর্বাহ্ণ

পটিয়ায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এক কলেজ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। উপজেলার ছনহরা এলাকায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে শাহেদুল ইসলাম সায়েম (১৯) নামের এ কলেজ ছাত্রকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের বাথুয়া ব্রিজের নিচে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। শাহেদ ছনহরা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের নুরুল ইসলামের ছেলে ও পটিয়া সরকারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। তারা বর্তমানে একই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে নানার বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। এ ঘটনায় নিহতের মা বেবী আকতার বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে পটিয়া থানায় ৭জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পটিয়া থানার ওসি জানান, নিহত কলেজ ছাত্র শাহেদুলের হার্টের সমস্যার কারণে ছোটবেলায় তার ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়, যার কারণে সে শারীরিকভাবেও অনেকটা দুর্বল ছিল। নিহতের ছোট ভাই পারভেজ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের বাথুয়া ব্রীজ এলাকায় যায় সাহেদুল। সেখানে তাদের সাথে পূর্বের পারিবারিক বিরোধ থাকা মামুন হোসেন, রুবেল, কফিল, সায়েদুলসহ আরও ১০১২ জন তাকে ধরে ব্রিজের নিচে প্রকাশ্যে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। একপর্যায়ে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেললে ব্রিজের নিচে তাকে ফেলে দেওয়া হয়। এ খবর শোনার পর আমি নিজেই ওই স্থানে গেলে তারা আমাকে ঘিরে ফেলে। স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে আমি প্রাণে রক্ষা পায়। পরে তাকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

পরিবারের লোকজনের দাবী, পারিবারিক ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শাহেদুলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাজ্জহাদ হোসেন বলেন, সাহেদুলকে হাসপাতালে আনার অনেক আগেই তার মৃত্যু হয়। তার শরীরে আঘাতের অনেক চিহ্ন ছিল।

পটিয়া থানার ওসি প্রিটন সরকার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়েছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষ করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদোহাজারী-ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্পে বরাদ্দ ১৪শ কোটি টাকা
পরবর্তী নিবন্ধকৃষকের ঘরে বোরো ধান, প্রভাব বাজারে