পটিয়া মাদ্রাসায় নিয়মবহির্ভূত শুরার মাধ্যমে মুহতামিম নিয়োগ অবৈধ

কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় বক্তারা

পটিয়া প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ১২ মার্চ, ২০২৪ at ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ

পটিয়া মাদ্রাসায় ‘নিয়মবহির্ভূত শুরার মাধ্যমে’ মুহতামিম নিয়োগকে অবৈধ বলে আখ্যায়িত করেছেন কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড (ইত্তেহাদ) কার্যনির্বাহী পরিষদ। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পটিয়া মাদ্রাসায় মুহতামিম নিয়োগকে অসাংবিধানিক, নিয়মবহির্ভূত ও মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন আখ্যায়িত করে তার তীব্র নিন্দা এবং প্রত্যাখ্যান করেছেন আঞ্জুমনে ইত্তেহাদুল মাদারিস (কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড) বাংলাদেশের জাতীয় নেতৃবৃন্দ।

গতকাল সোমবার সকালে চট্টগ্রামস্থ জামিয়া দারুল মাআরিফ আলইসলামিয়ার লাইব্রেরি হল মিলনায়তনে বোর্ডের সভাপতি আল্লামা সুলতান যওক নদভীর (দা.বা.) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী পরিষদের এক সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, আঞ্জুমনে ইত্তেহাদুল মাদারিস (কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড) জয়েন্ট স্টক কোম্পানিস অ্যান্ড ফার্মস বাংলাদেশ কর্তৃক নিবন্ধিত একটি স্বতন্ত্র সংগঠন এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গঠিত কওমি মাদ্রাসা বোর্ডসমূহের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘হাইয়াতুল উলিয়া’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্যসংস্থা। জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়া আঞ্জুমনে ইত্তেহাদুল মাদারিসের অধীনস্থ একটি মাদ্রাসা, ইত্তেহাদের সংবিধান অনুযায়ী ইত্তেহাদভুক্ত মাদ্রাসাসমূহের মজলিসে শুরা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত হওয়া আবশ্যক। বিগত ১৪ ফেব্রুয়ারির শুরা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত নয়, তাতে ইত্তেহাদের কোনো সমর্থন নেই। কাজেই শুরাবহির্ভূত কতিপয় ব্যক্তিবর্গের অনৈতিক হস্তক্ষেপে অনুষ্ঠিত উপর্যুক্ত শুরার কোনো নৈতিক ও আইনি ভিত্তি নেই এবং মুহতামিম নিয়োগসহ তাদের যাবতীয় কার্যকলাপ সর্বৈব অবৈধ। নেতৃতৃবন্দ বলেন, ইত্তেহাদ প্রায় ছয়শ মাদ্রাসার একটি বোর্ড। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষার উপযোগী ২৪০টি মাদ্রাসার ২১০ মাদ্রাসা আল্লামা সুলতান যওক নদভী ও আল্লামা ওবাইদুল্লাহ হামযাহর অধীনে ২০২৪ সালের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা দিচ্ছে। এতে সারাদেশে প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। কাজেই যেনতেনভাবে বোর্ড গঠন করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে মাদ্রাসা দখল এবং শুরাবহির্ভূত ব্যক্তিবর্গের অনৈতিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সংশ্‌িলষ্ট সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।

বোর্ডের মহাসচিব আল্লামা ওবাইদুল্লাহ হামযাহর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সভায় বক্তব্য রাখেন ইত্তেহাদের সিনিয়র সহসভাপতি ও ফেনী সিলোনিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা সাইফুদ্দীন কাসেমী, মাওলানা মুসলিম উদ্দীন, মাওলানা এমদদুল্লাহ নানুপুরী প্রমুখ। সভায় এক প্রস্তাবে পটিয়া মাদ্রাসার সমস্যা সমাধানে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি সমন্বয় কমিটি গঠিত হয়। অন্যদিকে হিফজ শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ তাহফিজুল কোরআন সংস্থার সভাপতি হিসেবে আল্লামা সুলতান যওক নদভীর নাম প্রস্তাব করা হলে তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়, একই সঙ্গে মাওলানা এমদাদুল্লাহ নানুপুরীকে নির্বাহী সভাপতি ও মাওলানা মুহাম্মদ মুসলিম উদ্দীনকে সিনিয়র সহসভাপতি মনোনীত করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশান্তির রুদ্ধ পথ খুলতে প্রয়োজন শুদ্ধ মানুষ
পরবর্তী নিবন্ধআজ ডা. নুরুন নাহার জহুরের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী