বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টিতে যুক্ততা ও অপরাধীদের আড়াল করার অপচেষ্টা দুই অপরাধে অপরাধী বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবরা নৈরাজ্যকারীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এক অপরাধ করেছেন, আবার এখন সেই অপরাধীদের আড়াল করার অপচেষ্টা করে আরেকটা অপরাধ করছেন, দুই অপরাধেই বিএনপি অপরাধী।
গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের বাসভবনে সীমিত সংখ্যক সাংবাদিকদের সমসাময়িক বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বিএনপির দায়িত্বহীন রাজনীতি এবং অপরাধীদের লালন-পোষণের কারণেই এসব অপশক্তি মাথাচাড়া দেওয়ার সুযোগ পায়। আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাব, বিরোধীদলেরও দেশের প্রতি দায়িত্ব আছে। কোনো ভুল দেখলে গঠনমূলক সমালোচনা করুন। কিন্তু দায়িত্বশীল পদে থেকে দায়িত্বহীনের মতো কথা বলবেন না। খবর বাংলানিউজের।
বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য ‘সরকার সমর্থিত লোকেরাই সামপ্রতিককালে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে ও নিপুণ রায়ের ফোনালাপ সরকারের বানানো’র জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নৈরাজ্যের ঘটনাগুলো কারা ঘটিয়েছে, তা পত্রপত্রিকাসহ সব গণমাধ্যমে আছে। দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চক্রান্তে হেফাজতে ইসলামের বর্তমান নেতৃত্বের ব্যানারে এসব ঘটানো হয়েছে। আর এদের মদদ দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াত, যার প্রকৃষ্ট প্রমাণ হচ্ছে বিএনপির নিপুণ রায়ের ফোনালাপ। আর নিপুণ রায়ের ফোনালাপ দিবালোকের মতো স্পষ্ট, এটিকে বানানো বলা মির্জা ফখরুল সাহেবের বানোয়াট কথাবার্তারই পুনরাবৃত্তি মাত্র।
ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁর বাড়িতে হামলা, ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষের ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়া, মানুষের দলিল যেখানে সংরক্ষিত থাকে, সেই ভূমি অফিসে আগুন দিয়ে দলিল-দস্তাবেজ পুড়িয়ে দেওয়া, নারায়ণগঞ্জে একজন সাংবাদিক তার নাম ‘সৌরভ’ বলার পর তাকে কলেমা পড়তে বলা, আরেক জায়গায় একজনের লুঙ্গি খুলে ধর্মপরিচয় জানার অপচেষ্টাসহ তারা যেগুলো করেছে, একাত্তরে পাক হানাদার বাহিনী সেগুলো করত বলে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সবাই পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
