কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে যারা রাজাকারের পক্ষে স্লোগানের নেতৃত্ব দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সভায় কথা বলছিলেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন যখন শুরু হয়, তখন সেখানে বিএনপি–জামায়াত তাদের প্ল্যান্টেড লোক ঢুকিয়ে দিয়েছে এবং কোটাবিরোধী আন্দোলনকে রাষ্ট্রবিরোধী, সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার অপচেষ্টা করছে। সেই কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজাকারের পক্ষে স্লোগান এসেছে। এই স্লোগানে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। খবর বাসসের।
শেখ হাসিনার বন্দি দিনগুলোর কথা স্মরণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওয়ান–ইলেভেনের সরকার দুর্নীতির বিরূদ্ধে স্লোগান দিয়ে ক্ষমতা দখল করার সময় ক্ষমতায় ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু তারা খালেদ জিয়াকে প্রথমে গ্রেপ্তার করেনি। গ্রেপ্তার করেছে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। কারণ অন্যায়–দুর্নীতির বিরূদ্ধে এবং গণতন্ত্রের মুক্তি আন্দোলনে শেখ হাসিনাই একমাত্র প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর।
২০০৭ সালের ১৬ জুলাই বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওয়ান–ইলেভেনের সরকার দুর্নীতির বিরূদ্ধে স্লোগান দিয়ে ক্ষমতা দখল করলেও যখন দেখা গেল তারা নিজেরাই দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ছে, দেশে অন্যায় হচ্ছে, স্বামীর অপরাধে প্রসূতি স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, পিতার অপরাধে কন্যাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, গণতন্ত্রকে হরণ করা হয়েছে, তখন জননেত্রী শেখ হাসিনা এর প্রতিবাদ করেছিলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের পর আমাদের কর্মীরা যেভাবে আন্দোলন করেছে, তাতে বিএনপিনেত্রী খালেদা জিয়াও মুক্তি পেয়েছিলেন।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বেনজীর আহমেদ এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় সভায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ,আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বক্তব্য রাখেন।