নিরাপত্তা কর্মকর্তাসহ তিন জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

বন্দরে কোকেন

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৪ মার্চ, ২০২১ at ৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরে তরল কোকেন জব্দের ঘটনায় মাদক আইনে করা মামলায় তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। তিন সাক্ষী হলেন- বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের লে. কমান্ডার নেজাম উদ্দিন, মো. মহিউদ্দিন ও মো. মাহাবুবুর রহমান। এর মধ্যে লে. কমান্ডার নেজাম উদ্দিন জব্দ তালিকার সাক্ষী। তার সামনে তরল কোকেনের কন্টেইনার ও ড্রাম খুলে আলামত সংগ্রহ এবং পরে তা সিলগালা করা হয়েছিল। অপর দুজনও কোকেন জব্দের সাথে সম্পৃক্ত একটি সার্টিফিকেট জব্দের প্রত্যক্ষ্যদর্শী সাক্ষী। তাদের প্রতিবেশী গোলাম মোস্তফা সোহেল নামে এক ব্যক্তির বাসা থেকে এ সার্টিফিকেট জব্দ করা হয়েছিল।
মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী আজাদীকে বলেন, বুধবার তিন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারিও তিন জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল। এ নিয়ে মোট ১১ জন সাক্ষী আদালতে হাজির হয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। অবশিষ্ট রয়েছে আরও ৫০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ। পর্যায়ক্রমে তাদেরও সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা চাইছি দ্রুত এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করতে। আশা করছি আমরা তা করতে সক্ষম হবো।
২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল চাঞ্চল্যকর এ মামলায় ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এর আগে এই ১০ জনকে আসামি করে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট জমা দেয় র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব। চার্জশিটভুক্ত ১০ আসামি হলেন- খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ, তার ভাই মোস্তাক আহম্মদ, খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল, মোস্তফা কামাল, আইটি বিশেষজ্ঞ মেহেদী আলম, আতিকুর রহমান, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (করপোরেট, বিক্রয় ও বিপণন) এ কে এম আজাদ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া এবং সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আলোচিত এ মামলার ১০ আসামির মধ্যে বর্তমানে দুজন (খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল ও বিশেষজ্ঞ মেহেদী আলম) কারাগারে আছেন। বাকিদের মধ্যে খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ ও তার ভাই মোস্তাক আহম্মদসহ ৪ জন পলাতক ও অপর ৪ জন জামিনে আছেন।
২০১৫ সালের ৬ জুন পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোকেন সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমুখী তেলের একটি চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। এরপর ২৭ জুন তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে একটি ড্রামের নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। বলিভিয়া থেকে আসা চালানটির প্রতিটি ড্রামে ১৮৫ কেজি করে সূর্যমুখী তেল ছিল। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দুটি নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় নগরীর বন্দর থানায় ২০১৫ সালের ২৭ জুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও চোরাচালান আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধনিখোঁজ এক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার, অপরজনের খোঁজ মেলেনি