নিজেকে ৩০ লাখ টাকায় বিক্রির ঘোষণা

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা

| শনিবার , ২৯ মে, ২০২১ at ৪:০৬ পূর্বাহ্ণ

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতায় নিজেকে ৩০ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চান সাতক্ষীরার যুবক ও গণমাধ্যমকর্মী গাজী আনিস। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন স্থানে ‘বিক্রি হব, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য’ এমনই প্লাকার্ড হাতে নিয়ে নিজেকে বিক্রির ঘোষণা দেন তিনি। প্লাকার্ডে দেখা যায়, গাজী আনিস তার মূল্য নির্ধারণ করেছেন ৩০ লাখ টাকা। এসময় হ্যাশট্যাগ দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা ও টেকসই বেড়িবাঁধের দাবি জানান তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গাজী আনিস লিখেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে যুদ্ধ করে উপকূলবাসীর টিকে থাকার সংগ্রাম বহুদিনের। আইলা, সিডর, বুলবুল, আম্পান, ইয়াসের মতো দুর্যোগ একের পর এক আঘাত হেনেছে। কিন্তু টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় দিনে দিনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে। ইয়াসের প্রভাবেও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপকূলের মানুষ। খবর বাংলানিউজের।
স্বপ্নহারা হয়েছে অনেক শিশু, অনেক পরিবারের শেষ সম্বল ভেসে গেছে পানিতে। এখনও অনেকেই বাড়ি ছাড়া হয়ে বসবাস করছেন। দিনে দিনে এই দুঃখ বাড়ছে। আমার জন্মভূমি উপকূলীয় এলাকায়। যেখানকার আলো বাতাসে বেড়ে উঠেছি, সেই সব মানুষের কথা চিন্তা করে সহযোগিতা করার জন্য নিজেকে বিক্রি করার এই উদ্যোগ নিয়েছি। আমার মতো তরুণেরা যদি এমন উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসেন, নিশ্চয়ই একটা সমাধানের পথ বের হবে।
গাজী আনিসের বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায়। শৈশব থেকে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত তিনি। দেশের শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব পালন করেছেন। বেশ কয়েক বছর আগে থেকে উপকূলীয় এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার দাবি জানিয়ে আসছিলেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় এবার নিজে বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। ইয়াসের প্রভাবে অতি জোয়ার বা জলোচ্ছ্বাসে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার ২৭টি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনি, মুন্সিগঞ্জ, কৈখালী ইউনিয়ন এবং আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা, প্রতাপনগরসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা ও দেবহাটা উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ইছামতি নদী, কালিন্দি নদী ও কাকশিয়ালি নদীর পানি উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করে সেখানকার মানুষেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমীরসরাইয়ে আগুনে পুড়ল ১০ বসতঘর
পরবর্তী নিবন্ধবাবা ভাবতেন মেয়ে তার শ্বশুরবাড়িতে