নিচের ১৫ কিলোমিটার সড়ক চসিকের নিকট হস্তান্তর

পতেঙ্গা-লালখান বাজার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ at ৬:১৩ পূর্বাহ্ণ

পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচের ১৫ কিলোমিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের সড়কটি সংস্কার করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের শুরুতে পতেঙ্গালালখান বাজার সড়কটির দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকালে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সড়ক। সড়কের উপর পিলার নির্মাণ, সার্ভিস লাইন স্থানান্তরসহ নানা কাজে সড়কে খানাখন্দের পাশাপাশি বড় বড় গর্ত হয়েছিল। এতে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছিল। এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ চলাকালে রাস্তাটি যান চলাচলের উপযোগী রাখার কথা থাকলেও বিভিন্ন সময় তা ব্যাহত হয়।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল অবকাঠামোর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর সিডিএ নিচের রাস্তাটি পুরোপুরি সংস্কার করে। এতে রাস্তার প্রস্থ কিছুটা বাড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে ড্রেনও নির্মাণ করে। ইতোমধ্যে রাস্তাটির সব খানাখন্দ মেরামত করে পুরো রাস্তা পিচ ঢালাই করা হয়েছে। পুরোপুরি সংস্কার করার পর এটির দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার জন্য সিটি কর্পোরেশনকে পত্র দেয় সিডিএ।

ওই পত্রের প্রেক্ষিতে সিডিএ ও সিটি কর্পোরেশনের যৌথ প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত টিম সরেজমিনে পুরো রাস্তা পরিদর্শন করে। টিমের সদস্যরা লালখান বাজার থেকে সীবিচ পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে লেইন মার্কিং ও রোড সেইফটি আইটেম সংযুক্ত করার ব্যাপারে একমত হয়। সিটি কর্পোরেশন লেইন মার্কিং এবং সেফটি আইটেমসহ আনুষাঙ্গিক কাজের জন্য ২ কোটি ৭৯ লাখ ৬২ হাজার ১৭ টাকা খরচ নির্ধারণ করে। গতকাল সিডিএ উক্ত কাজের জন্য সিটি কর্পোরেশনের নিকট উপরোক্ত টাকার চেক প্রদান করে।

উভয় সংস্থার ঐকমত্যের ভিত্তিতে গতকাল সিডিএর পক্ষ থেকে রাস্তাটি সিটি কর্পোরেশনের নিকট হস্তান্তর করা হয়। সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী এবং প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান সড়কটি হস্তান্তর করেন। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও এস্টেট অফিসার রেজাউল করিম সড়কটির দায়িত্ব বুঝে নেন। এ সময় চেক ছাড়াও সড়কটির ডেনকাম স্ল্যাবের নকশা ও লেআউট প্ল্যানও বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান বলেন, এক্সপ্রেসওয়ের জন্য সড়কটি ব্যবহার করেছি। এতে সড়ক যতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা ঠিক করে পিচ ঢালাই করে দিয়েছি। সড়কটির অনেক জায়গায় ড্রেন ছিল না। আমরা ড্রেনও নির্মাণ করেছি। এখন থেকে এই সড়ক সংস্কার কিংবা রক্ষণাবেক্ষণসহ সব দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশন পালন করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউত্তাল চুয়েট, সড়ক অবরোধ
পরবর্তী নিবন্ধমিতুর টাকায় তাকে খুন করান বাবুল