নালার পানি নিষ্কাশন বন্ধ দুর্ভোগে লাখো মানুষ

চান্দগাঁওয়ে ডুবে গেছে রাস্তা, বাড়িঘরে ময়লা পানি

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৬ মে, ২০২১ at ৫:০৭ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘ প্রায় দুইমাস যাবত নালার পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় নগরীর অন্যতম অভিজাত এলাকা চান্দগাঁও ও চন্দ্রিমা আবাসিকসহ সন্নিহিত এলাকার লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। জমে থাকা পানিতে সয়লাব এলাকার প্রতিটি নালা-নর্দমা। প্রায় প্রতিটি রাস্তা, বাড়ির গেট ও উঠানে থৈ থৈ করছে নালার ময়লা পানি। এতে শুধু লক্ষাধিক মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাই শুধু ব্যাহত হচ্ছে না, মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ জীবন। প্রতিটি নালায় ভনভন করছে মশা-মাছি। অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে ডেঙ্গুসহ নানা রোগে। কর্তৃপক্ষ বলছে- বহদ্দারহাটে পানির চাপ বাড়ায় পুরো এলাকায় সমস্যা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলছে। এ কাজের অংশ হিসেবে প্রায় ২ মাস ধরে পুরাতন চান্দগাঁও এলাকায় খাল-নালার পানি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে-কোন কোন পয়েন্টে বাঁধ দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এতে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পানি চলাচলে বিকল্প পথ না থাকায় ছোট-বড় সব নালার পানি উপচে পড়ছে। আটকে থাকা পানি পচে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে । চান্দগাঁও আবাসিক বি-ব্লকের একাধিক বাসিন্দা নিজেদের দুর্ভোগের বিষয়ে বলেন, ময়লা পানি অধিকাংশ বাড়িঘরে প্রবেশ করেছে। প্রতিটি বাড়ির গেটে থৈ থৈ করছে পচা পানি। এলাকার পানি চান্দগাঁও আবাসিকের প্রধান নালা হয়ে কর্ণফুলীতে পড়ে। ১২ নম্বর সড়ক হয়ে এ নালার পানি ময়লার স্তূপে জমে তা সড়কে উঠে এসেছে।
চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, চন্দ্রিমা আবাসিক এলাকা, খতিব বাড়ি, শরাফত উল্লাহ পেট্রল পাম্প, সাধুর পাড়াসহ সন্নিহিত এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজে আরো গতিশীলতা আনার উপর গুরুত্বারোপ করে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পের কাজ যত দ্রুত সম্পন্ন হবে ততই মানুষ উপকৃত হবে। কাজে বিলম্ব হলে দুর্ভোগ বাড়বে মানুষের। স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকার নালা-নর্দমার পানি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে কিনা কিংবা ঠিকাদার বা প্রকৌশলীর গাফেলতি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিডিএ ও সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
চান্দগাঁও সোসাইটি ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফারুক ইসলাম বলেন, নালার পানি চলাচল দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় অধিকাংশ ঘরে ময়লা পানি ঢুকেছে। এর চেয়েও দুশ্চিন্তার বিষয় হল, বর্ষার আগেই ডেঙ্গুসহ নানা রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। তিনি জনদুর্ভোগ বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত এ সমস্যার সমাধানের দাবি জানান। তিনি বলেন, আমার ঘরেও দুইজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত।
এ ব্যাপারে প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় কোথাও পানি নিষ্কাশনের পথে বাঁধ দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, বহদ্দারহাটের দিক থেকে বাড়তি পানির চাপ আসায় এলাকার নালা-নর্দমা ময়লা পানিতে ভরে গেছে। তিনি মানুষের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনতুন টাকা ব্যাংকে নয় মিলছে ফুটপাতে
পরবর্তী নিবন্ধঈদের ছুটিতে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ