নগরীতে ১০ ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযান, ৪১ মামলা

লকডাউন অমান্য

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৮ এপ্রিল, ২০২১ at ৫:৩০ পূর্বাহ্ণ

লকডাউনের চতুর্থ দিন গতকাল শনিবারও নগরজুড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এ দিন ১০ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ৪১ মামলায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১৩ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। মূলত স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন ও ডকডাউন উপেক্ষা করার অপরাধে এ জরিমানা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের স্ট্যাফ অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লকডাউন না মেনে দোকানপাট খোলা রাখা, দোকানের সামনে জনসমাগম করা, অযথা গাড়ি নিয়ে বের হওয়া, বেশি যাত্রী পরিবহন করা ও মাস্ক না পরার অপরাধে এসব জরিমানা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন জানায়, শনিবার নগরীর পাহাড়তলী, হালিশহর ও আকবরশাহ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহেল রানা। তিনি ৭টি মামলায় ১৮শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এহসান মুরাদ পতেঙ্গা, ইপিজেড ও বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে খোলা রাখা একটি বিপণী বিতান বন্ধ করে দেন এবং সতর্ক করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইনামুল হাছান পাহাড়তলী, হালিশহর ও আকবরশাহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১টি মামলায় ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা জান্নাত পাঁচলাইশ, বাকলিয়া ও চকবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ টি মামলায় ১৮শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজিব হোসেন নগরীর পতেঙ্গা ইপিজেড ও বন্দর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি ৬টি মামলা দায়ের করে ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন কোতোয়ালী, সদরঘাট ও ডবলমুরিংয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেখেন। তাই কাউকে তিনি জরিমানা করেননি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা আফরোজ খুলশী, বায়েজিদ ও চাঁন্দগাও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২টি মামলায় ১৫শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন কোতোয়ালী, সদরঘাট ও ডবলমুরিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪টি মামলায় ৮শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান পাঁচলাইশ, বাকলিয়া ও চকবাজার এলাকায় অভিযান চালান। তিনি ৪ টি মামলায় ২১০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন নগরীর খুলশী বায়েজিদ ও চান্দগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি ৭টি মামলায় ২৩শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। জেলা প্রশাসন জানায়, লকডাউন সফল করার লক্ষে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী ও হুছাইন মুহাম্মদও নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় তারা মানুষকে লকডাউন মানতে উদ্বুদ্ধ করেন এবং বিপুল পরিমাণ মাস্ক বিতরণ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধব্যতিক্রম কিছুর জন্য অপেক্ষা হালদা পাড়ে
পরবর্তী নিবন্ধকরোনা মোকাবিলায় সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই: কাদের