কক্সবাজারে ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতা, অচল জনজীবন

এম.এ আজিজ রাসেল, কক্সবাজার | সোমবার , ২৭ মে, ২০২৪ at ১২:৫৬ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারে নেমেছে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত। তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু তবুও সোমবার মধ্যরাত থেকে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। বইছে ধমকা হাওয়া। সেই সাথে বজ্রপাতে জনমনে আতংক বিরাজ করছে।

টানা বৃষ্টিপাতে প্লাবিত হয়েছে শহরের নিম্নাঞ্চল। বার্মিজ মার্কেট থেকে বাজারঘাটা পর্যন্ত জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পাড়া-মহল্লার সড়ক-উপসড়কগুলোও পানির নিচে রয়েছে। এতে ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে মানুষ। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। যারা ঘর থেকে বের হচ্ছেন, তাও অতিপ্রয়োজনে। থমকে রয়েছে অফিস-আদালতের কার্যক্রম।

শহরের গোলদিঘির, বৌদ মন্দির সড়ক, বড় বাজার, টেকপাড়া, কালুর দোকান, তারাবনিয়ারছড়া, নুর পাড়া, সমিতি পাড়া, নাজিরারটেক, ফদনার ডেইল, কুতুবদিয়া পাড়া ও হোটেল মোটেল জোনের বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকায় যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ রয়েছে। অনেকে বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে বেড়েছে জনদুর্ভোগ।

শহরের গোলদিঘির পাড় এলাকার বলরাম দাশ অনুপম জানান, ‘ঘুম থেকে ওঠে দেখি রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সকাল থেকে ঘরবন্দী হয়ে আছি। নাস্তা বা বাজার করার জন্যও বের হতে পারছি না।’

বড় বাজার এলাকার ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে অনেক দোকানে পানি ঢুকেছে। এতে অনেক মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। তাই সবাই ব্যস্ত মালামাল সরাতে।’

বৃহত্তর টেকপাড়া জনকল্যাণ সমাজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম কেলু বলেন, ‘এখানে নতুন করে রাস্তা ও কালভার্ট নির্মাণ হচ্ছে। তাই অনেক সড়ক বন্ধ। পানি চলাচল করতে না পারায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ‘

কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হান্নান বলেন, ‘কয়রা, খুলনায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল” উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপ হিসাবে বর্তমানে যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরো উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশঃ বৃষ্টিপাত ঝড়িয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে। কক্সবাজারে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৩ মি. মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ‘

পূর্ববর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের আগুনে পুড়েছে ৩ দোকান
পরবর্তী নিবন্ধরাউজানে আগুনে পুড়েছে ৩ বসতঘর, নিভাতে গিয়ে যুবক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট