নগরবাসীকে সুপেয় পানি দিতে পেরে রাঙ্গুনিয়াবাসী খুশি : তথ্যমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতা বিএনপি এবং খালেদা জিয়া মনে রাখবে

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৭ মার্চ, ২০২২ at ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার চট্টগ্রামের উন্নয়নের ব্যাপারে শুরু থেকেই গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন চট্টগ্রামের উন্নয়ন তিনি নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন। সেই মোতাবেক সমগ্র চট্টগ্রামে অনেকগুলো মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিতকতায় আমার নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়া থেকে সুপেয় পানি চট্টগ্রাম শহরে সরবরাহ করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম শহরবাসীকে সুপেয় পানি দিতে পেরে রাঙ্গুনিয়াবাসী অত্যন্ত খুশি।
গতকাল বুধবার দুপুরে রেডিসন ব্লু’র মেজবান হলে চট্টগ্রাম ওয়াসার শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রী যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন বিএনপি এবং খালেদা জিয়া আশা করি সেটি মনে রাখবে। তাকে বারবার সাজার মেয়াদ স্থগিত রেখে মুক্ত থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা তো জনগণের কাছে যান না, তিনি মাঝে মধ্যে ঠাকুরগাঁও যান আর টেলিভিশনে প্রোগ্রাম করেন। আর মাঝে মধ্যে করেন কিছু লোক দেখানো প্রোগ্রাম। জনগণ যে আজকে ভালো আছে, তারা তো আসলে সেটুকু জানেন না। জনগণ ভালো থাকুক সেটিও তারা চান না। এ জন্য নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর কথা বলেন তারা।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়, মানুষের কষ্ট হয়। এসি রুমে বসে তারা মানুষের দুর্ভিক্ষ ও কষ্ট বুঝেন না- বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, এই করোনা সঙ্কটকালে আওয়ামী লীগই সবসময় মানুষের পাশে থেকেছে, বিএনপি কখনো থাকেনি। বিএনপি করোনাকালে দুয়েকটি লোক দেখানো প্রোগ্রাম করে কয়েকটি প্যাকেট বিতরণ করেছে, টেলিভিশনে ফটোসেশন করেছে, এর বাইরে কিছু করেনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণের সঙ্গে থাকে, করোনাকালে বুঝা গেছে কোন দলের নেতাকর্মী, এমপি ও মন্ত্রীরা জনগণের পাশে ছিলেন। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে ছিলেন বিধায় এই করোনার সময়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ৮১ সদস্যের মধ্যে পাঁচজন মৃত্যুবরণ করেছেন। দলের অনেক সংসদ সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। তারা জনগণের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও ত্রাণ বিতরণ করেছেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে আবার হাসপাতালে গেছেন। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে আবার জনগণের কাছে গেছেন। সেই কারণেই তারা কিন্তু অসুস্থ হয়েছেন এবং অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি নিজেও দুবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছি। আমি ঢাকা শহরে একজন ব্যস্ততম রাজনীতিবিদ। এরপরও প্রতি সপ্তাহে আমার নির্বাচনী এলাকায় আসি- বলেন তথ্যমন্ত্রী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১২৬ দখলদারকে ৯০ দিনের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ
পরবর্তী নিবন্ধভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট কমল ১০%