ধর্ষণ চেষ্টার পর ছিনতাই কাজেও একই বাস

চালক দুজন, পেছনে নম্বর প্লেট নেই, সামনেরটি বাম্পারের আড়ালে

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১ জুন, ২০২২ at ৮:১৪ পূর্বাহ্ণ

সম্প্রতি এক পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে বাকলিয়া থানা পুলিশ কর্তৃক জব্দ করা বাসটি ছিনতাই কাজেও ব্যবহৃত হতো বলে নতুন অভিযোগ পাওয়া গেছে। পোশাক শ্রমিক ওই তরুণীকে ধর্ষণ চেষ্টায় বাসটি জব্দ করার দুদিন পর বাসটিতে ছিনতাইয়ের শিকার এক ব্যক্তি পাহাড়তলী থানা পুলিশের শরণাপন্ন হওয়ার পর তদন্তে বের হয়ে আসে ধর্ষণ চেষ্টা এবং ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত বাস একটিই। বাসটির পেছনে কোনো নম্বর প্লেট নেই। সামনের নম্বর প্লেটটি বাম্পারের আড়ালে ঢোকানো, যাতে সহজে নম্বরটি দেখা না যায়। বাসটির চালক দুজন। এদের মধ্যে ছিনতাইয়ের ঘটনার আসামি এক চালক আশরাফুল পাহাড়তলী থানায় ধরা পড়ে তার সহযোগী তিনজনসহ। আর ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামি দ্বিতীয় চালক টিপু ধরা পড়ে বাকলিয়া থানা পুলিশের হাতে বাসের হেলপার জনি দাশসহ।

বাকলিয়া থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম আজাদীকে জানান, ১৯ মে এক পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণ চেষ্টার আলামত হিসেবে ২৫ মে ওই তরুণীর জবানবন্দি অনুযায়ী বাসটি তারা জব্দ করেন।

এদিকে ২৭ মে ঠিক ওই বাসটিতে উঠেই ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন বলে এক ব্যক্তি পাহাড়তলী থানায় অভিযোগ করেন। পাহাড়তলী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে জানান, ২১ মে রাত সোয়া ১২টার দিকে ভাটিয়ারী যাওয়ার জন্য অলঙ্কার মোড় থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তবে বাসটি গন্তব্যে না গিয়ে ভিন্ন রুটে চলে যায় এবং বাসে থাকা যাত্রীবেশী দুজন ও চালকসহকারীসহ চারজন মিলে মারধর করে তার সাথে থাকা নগদ এক হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং হাতপা বেঁধে খুলশী থানার সেগুনবাগান এলাকায় ফেলে চলে যায়।

২৮ মে ওই বাসটির চালক আশরাফুল ইসলামকে তার দুই সহযোগী মিন্টু ও নঈম উদ্দিনসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে হাবিবুর রহমান নামে চতুর্থজন ৩০ মে চান্দগাঁও থেকে ধরা পড়ে। অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে পাহাড়তরী থানার এসআই সবুজ মিয়া জানতে পারেন, একই বাসটি ১৯ মে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আলামত হিসাবে বাকলিয়া থানায় জব্দ করা হয়েছে। বাসটি পালা করে দুই চালক আশরাফুল এবং টিপু চালাত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশখালীর বিভিন্ন ইউনিয়নে ১৫ বিদ্রোহীকে আ. লীগ থেকে বহিষ্কার
পরবর্তী নিবন্ধআরও এক মামলায় বিটিসিএলের দুই কর্মচারীর কারাদণ্ড