ধর্মঘটে বন্দর ব্যবহারকারীদের উদ্বেগ

গতিশীল কার্যক্রম হোঁচটের আশঙ্কা

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৫ নভেম্বর, ২০২১ at ৮:৪৭ পূর্বাহ্ণ

বিদেশ থেকে আসা জাহাজ সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে বার্থিং নেয়ার মতো গতিশীলতায় বড় ধরনের হোঁচটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ডিজেল কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধি হলেও ভাড়া বৃদ্ধির ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত ঘোষণা না করায় আজ শুক্রবার থেকে কর্মবিরতি পালন করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ কার্ভাডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার পণ্য পরিবহন মালিক সমিতি। এতে করে চট্টগ্রাম বন্দর এবং বন্দরের সহায়ক ১৯টি আইসিডি থেকে দেশব্যাপী পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বন্দর ব্যবহারকারীদের মাঝে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ কার্ভাডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার পণ্য পরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী জাফর আহমেদ তেলের দাম বাড়ানোর ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হঠাৎ করে তেলের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অথচ আমাদের ভাড়া বাড়ানোর কোন খবর নেই। আমাদের সাথে কোন ধরনের আলোচনাও করা হয়নি। হুট করে দাম বৃদ্ধি করে তা কার্যকর করা হয়েছে। এতে করে গাড়ি চালানো আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। যে পরিমাণ খরচ বেড়ে যাচ্ছে তার সাথে যদি ভাড়া সমন্বয় করা না হয় তাহলে গাড়ি চালানো অসম্ভব। তাই শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য গাড়ির চাকা বন্ধ থাকবে। সরকার ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিলেই কেবল আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করবো।
চট্টগ্রাম বন্দর পরিস্থিতি খুবই সন্তোষজনক ছিল বলে মন্তব্য করে গতকাল একাধিক ব্যবহারকারী বলেছেন, চমৎকার একটি পরিবেশ বিরাজ করছিল। একদিনও অপেক্ষা না করে জাহাজ জেটিতে বার্থিং নেয়ার মতো গতিশীলতা আমাদেরকে আশাবাদী করে তোলে। কিন্তু হুট করে এমন একটি কর্মসূচি পরিস্থিতি নাজুক করে তুলবে। এতে ফ্যাক্টরি কিংবা আইসিডি থেকে পণ্য আনা-নেয়া করা যাবে না। কাঁচামাল পরিবহন করা সম্ভব হবে না। ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন মুখ থুবড়ে পড়বে। পণ্য রপ্তানি কার্যক্রমও ব্যাহত হবে। এটি একটি সাংঘাতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে তারা দ্রুত বিষয়টি সুরাহার জন্য উভয়পক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। বিজিএমইএ প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আমরা ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলা করছি। বিভিন্ন সমস্যায় আমাদের দিশেহারা হওয়ার উপক্রম। জাহাজভাড়া কয়েকগুন বেড়ে গেছে। বেড়ে গেছে কন্টেনার ভাড়া। এরপরও আমরা পরিস্থিতি মোকাবেলার চেষ্টা করছি। এখন পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে থাকলে আমাদের কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বিষয়টি বন্দর কর্তৃপক্ষ সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বন্দর থেকে পণ্য আনা নেয়া বন্ধ হলে অবশ্যই আমাদেরকে বড় সংকটে পড়তে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাগর পাড়ে হচ্ছে চার লেনের নতুন টোল রোড
পরবর্তী নিবন্ধঅনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট