দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বললেন শিক্ষামন্ত্রী

চবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ প্রশাসনের তদন্ত কমিটি গঠন

চবি প্রতিনিধি | রবিবার , ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৮:০৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন উপগ্রুপের মধ্যে বার বার সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে চবি উপাচার্যকে নির্দেশনা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। গতকাল শনিবার দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর প্রফেসর ড. নূরুল আজিম সিকদার। তিনি বলেন, আমরা বিষয়টা শক্তভাবে দেখছি। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক হিসাবে রয়েছেন মেরিন সায়েন্স ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ চৌধুরী এবং সদস্য হিসাবে আছেন সহকারী রোকন উদ্দিন ও শঙ্কর বড়ুয়য়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে চলমান সংঘাত ও সংঘর্ষের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের সাথে (শনিবার) কথা বলেছেন। এ সময় মন্ত্রী সংঘাত ও সংঘর্ষের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অনুরোধ করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ইতিপূর্বে যারা এই ধরনের সহিংসতায় জড়িত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ফৌজদারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি তিনি বিশেষভাবে অনুরোধ জানান। কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের নাম ব্যবহার করে যেন কোনো দায়ী ব্যক্তি নিষ্কৃতি না পায়এ বিষয়ে সচেতন থাকতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি তিনি (মন্ত্রী) আহ্বান জানান। শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধের প্রেক্ষিতে আজ রোববার সকাল ১১টায় আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক এক সভা আহ্বান করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার কে এম নূর আহমদকে নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার।

এর আগে গত চারদিন ছাত্রলীগের তিন উপগ্রুপের অন্তত সাতবার সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশসহ আহত হয়েছে অর্ধ শতাধিক। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পাঁচ লক্ষাধিক টাকার সম্পত্তি। সংঘর্ষের সময় ছাত্রলীগকর্মীদের হাতে রামদা, রড ও চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে দেখা গেছে। সবার দাবি নিজ কর্মীকে মারধরের জেরে ঘটনার সূত্রপাত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে নিজেদের আধিপত্য দেখাতে প্রতি বছর এই সময়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় উপগ্রুপগুলো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবন্দরের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পাবে : নৌ প্রতিমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধদুটি থানা ও ৬টি ফাঁড়ির প্রস্তাব