শুধু আমার নয় চট্টগ্রাম বিভাগের প্রতিটি পরিবারে এর অপরিসীম গুরুত্বের কথা অনস্বীকার্য। আমি যখন একাদশ শ্রেণিতে পড়ি তখন কলেজের মেইন গেইটের একপাশে লাল পোস্টবঙে একটা হলুদ খামে স্বরচিত কবিতা পুরে ‘দৈনিক আজাদীর’ ঠিকানায় ফেলে দিয়ে খুব আনন্দ নিয়ে বাড়ি ফিরতাম কলেজ ছুটির পর। আজাদীর মহিলা মহফিল বিভাগের এডিটর ছিলেন শ্রদ্ধেয় ফাহমিদা আমিন আপা, পরবর্তী সময় উনার সাথে চট্টগ্রাম লেখিকা সংঘে আমার সাক্ষাৎ হয়। এভাবে দৈনিক আজাদীর উৎসাহ ও অনুপ্রেরণায় আমার লেখালেখির জগতটা সমৃদ্ধ হয় আমার কিশোরবেলা থেকে। কিশোরী আমি মহিলা মহফিলে ছাপানো কবিতা দেখে আনন্দে আপ্লুত হতাম। এরপর বিবাহিত জীবনেও এই প্রিয় দৈনিক আমার সন্তানদের তথা পরিবারের শিক্ষাবিষয়ক নানান তথ্যের জন্য একমাত্র নির্ভরযোগ্য বন্ধুর মতো পাশে থেকেছে। এখনও দৈনিক আজাদী আমার ভোরের সাথী হয়ে আছে। দৈনিক আজাদীর প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক, প্রয়াত সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ, শ্রদ্ধেয় সম্পাদক এম এ মালেক, তাঁর সুযোগ্য পুত্র ওয়াহিদ মালেক সহ আজাদী সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও অভিবাদন।