দেড় মাস বন্ধের পর জমি নামজারির আপিল, রিভিউ, শুনানি ফের সচল

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৮ এপ্রিল, ২০২২ at ৫:০৮ পূর্বাহ্ণ

ভূমির নামজারি আবেদন নামঞ্জুর আদেশের বিরুদ্ধে আপিল, রিভিউ শুনানি দেড় মাস বন্ধের পর ফের সচল হয়েছে। গত সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান গতকাল দুপুরে আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট স্ট্যাফরা তাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলনে ছিলেন। সারাদেশেই হয়েছে এ আন্দোলন। যার কারণে নামজারি আবেদন নামঞ্জুর আদেশের বিরুদ্ধে আপিল, রিভিউ শুনানি বন্ধ ছিল। এখন আর কোনো সমস্যা নেই। শুনানি হচ্ছে। জেলা প্রশাসক বলেন, ঈদের পর পুরোদমে শুরু হবে এ কার্যক্রম। এখন সপ্তাহে তিনদিন শুনানি করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
গত কিছুদিন ধরে নামজারি খতিয়ান প্রত্যাশীরা অভিযোগ করে আসছেন যে, নামজারি আবেদন নামঞ্জুর আদেশের বিরুদ্ধে তারা আপিল করতে পারছেন না এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দেড় থেকে দুই মাস ধরে অফিস করছেন না। যার কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
যেকোনো কারণেই নামজারি আবেদন নামঞ্জুর হতে পারে। কোনো দলিল-দস্তাবেজে ত্রুটির কারণে হতে পারে, আবার অন্য কোনো উদ্দেশ্যেও নামঞ্জুর হতে পারে। কিন্তু আবেদন নামঞ্জুর হলে প্রতিকারের সুযোগ রয়েছে। নামজারি নামঞ্জুর হলে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) আদেশের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) কাছে আদেশের ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ আছে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের (রাজস্ব) কাছে এবং তা করতে হয় আদেশের ৩০ দিনের মধ্যে। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের (রাজস্ব) আদেশের বিরুদ্ধে ভূমি আপিল বোর্ডে আদেশের ৯০ দিনের মধ্যে আপিল করা যায়।
এ ছাড়া রিভিশনের পথও খোলা রয়েছে। ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা তাঁর নিজের ইচ্ছায় নথি তলব করে সংশোধনের আদেশ দিতে পারেন। এ ছাড়া রিভিউ বা পুনর্বিবেচনার পথও খোলা আছে। দলিলপত্রে কোনো ভুল পর্যবেক্ষণ হয়েছে বলে মনে করলে কিংবা আবেদন বাতিল করলে রিভিউর আবেদন করতে হয়। যে কর্মকর্তা আদেশ দিয়েছেন, তাঁর বরাবরই রিভিউ করতে হবে। রিভিউ করতে হয় ৩০ দিনের মধ্যে। তবে রিভিউ আবেদন করা হলে আর আপিল করা যায় না।
উল্লেখ্য, কোনো কারণে ভূমি হস্তান্তর হলে খতিয়ানে পুরনো মালিকের নাম বাদ দিয়ে নতুন মালিকের নাম প্রতিস্থাপন করাকে বলা হয় মিউটেশন বা নামজারি। উত্তরাধিকার সূত্রে, বিক্রয়, দান, খাসজমি বন্দোবস্তসহ বিভিন্ন ধরনের হস্তান্তরের কারণে জমির মালিকানা বদল হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে নামজারির জন্য আবেদন করতে হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমতভিন্নতা থাকলেও তা যেন ব্যক্তিস্বার্থকেন্দ্রিক না হয়
পরবর্তী নিবন্ধচসিক লাইব্রেরির সামনে খেলা লালদীঘিকে ঘিরে মেলা