বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, অভিভাবকরা অবশ্যই ছেলে-মেয়েদের যত্ন নিবেন এবং পড়ালেখার প্রতি উৎসাহিত করার পাশাপাশি তাদেরকে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। দেশে কোনো সুচিকিৎসা ও সুশিক্ষা নাই। দুটোই এখন ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। আমি যদি দেশ ও জাতির স্বার্থে কাজ করার সুযোগ পায় তাহলে শিক্ষা ও চিকিৎসার উন্নয়নে কাজ করব।
আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার আমিলাইষ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিগত সালের এসএসসি পরিক্ষায় এ প্লাস প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটা ছেলে-মেয়েকে সুন্দর ভাষা শিখতে হবে। বেশি করে শিখতে হবে ইংরেজি। বিশেষ করে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে একটি ইংরেজি পত্রিকা কিনবে এবং এটাকে ভালো করে পড়বে আর বাংলা পত্রিকার সাথে মিশাবে। যাতে করে ইংরেজি ভাষা ভালো করে বলতে পারো।
সভাপতির বক্তব্যে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সাইয়েদ মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন সুশিক্ষায় গড়ে ওঠে, নৈতিকতা ও মানবিক গুণে পরিপূর্ণ হয় এটাই আমাদের লক্ষ্য। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছেন শিক্ষার্থীদের সর্বোত্তম শিক্ষা দেওয়ার জন্য। এজন্য প্রয়োজন অভিভাবকদের সক্রিয় সহযোগিতা। বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা, পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তা রক্ষায় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ.এস.এম সাইফুল্লাহ’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও সহকারী প্রধান শিক্ষক অর্পণ চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় মুখ্য আলোচক ছিলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন, ছদাহা মুহাম্মদীয়া খাইরিয়া আলিম মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, দেওদীঘি কে এম উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ সভাপতি তারেক হোসাইন, চরতি আল হেলাল ডিগ্রি কলেজ গর্ভণিং বডির সদস্য আজিজুর রহমান ও বাঁশখালী ডায়াবেটিক হাসপাতালের পরিচালক ডা. নারায়ণ দাশ।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আমিলাইষ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে যেসকল শিক্ষার্থী ২০০৬ সাল থেকে শুরু করে ২০২৫ সালের এসএসসি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে এ প্লাস প্রাপ্ত হয়েছেন তাদেরকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।












