দেশকে এগিয়ে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় গুরুত্ব দিতে হবে

চুয়েটে আন্তর্জাতিক কনফারেন্স উদ্বোধনে তথ্যমন্ত্রী

| শুক্রবার , ৫ মার্চ, ২০২১ at ৬:০০ পূর্বাহ্ণ

তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ডায়নামিক নেতৃত্বে মাত্র কয়েকদিন আগেই আমরা মধ্যবিত্ত দেশের কাতারে নাম লিখিয়েছি। স্বাধীনতা পরবর্তী গত কয়েক দশক ধরে দেশের ভৌত ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে পুরকৌশলীরা অবদান রেখে চলেছেন। পুরকৌশলীদের ছাড়া দেশে দ্রুত এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্ভবপর হতো না। ইনোভেশন ও গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে একটি বিশ্ববিদ্যালয় দেশকে এগিয়ে নিতে অবদান রাখতে পারে। ২০৪১ সালের আমরা উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার রূপরেখা নিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বৈশ্বিক মহামারি কোভিড পরিস্থিতিতেও এই ধরণের আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়। এই কনফারেন্স হতে প্রাপ্ত আউটপুট দেশকে প্রযুক্তি খাতে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
তিনি গতকাল বৃহষ্পতিবার চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল অনুষদের তিনদিনব্যাপী টেকসই উন্নয়নে পুরকৌশল খাতের অগ্রগতি বিষয়ক ৫ম আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। উল্লেখ্য, বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে এবার প্রথমবারের মত কনফারেন্সটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নকে টেকসই করতে প্রকৌশলীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের মিশনও টেকসই উন্নয়ন। সে লক্ষ্যেই সরকার ডেল্টা প্ল্যান গ্রহণ করেছে। দেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর টেকসই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই উন্নয়ন ও টেকসই প্রযুক্তি সুফল বয়ে আনবে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেছেন, বাংলাদেশে বর্তমানে চলমান মেগা প্রজেক্ট ও অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে পুরকৌশলীদের প্রত্যক্ষ অবদান রয়েছে।
কনফারেন্স চেয়ার এবং পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পালের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রবিউল আলম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কনফারেন্স সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. বিপুল চন্দ্র মণ্ডল। পুরকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল আচার্যের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রয়েল সিমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল মনসুর এবং বিএসআরএম’র সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট ম্যানেজার মো. তাজুল ইসলাম। তিনদিনব্যাপী এই ভার্চুয়াল কনফারেন্সে ৮টি প্লেনারী লেকচারসহ সর্বমোট ২৪টি টেকনিক্যাল সেশন রয়েছে। এবারের কনফারেন্সে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বমোট ৪৯১টি অ্যাবস্ট্র্যাক্ট জমা পড়ে। এরমধ্যে ৪৪৮টি অ্যাবস্ট্র্যাক্ট গৃহীত হয়।
পরবর্তীতে সর্বমোট ২৬৫টি পূর্ণাঙ্গ প্রকাশনা প্রস্তাব থেকে রিভিউপূর্বক ১৯০টি প্রকাশনা কনফারেন্সে উপস্থাপনের জন্য নির্বাচিত করা হয়। এছাড়াও কনফারেন্সে উপস্থাপিত প্রকাশনাসমূহের মধ্য থেকে আনুমানিক ৫০-৬০টি প্রকাশনা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিত হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমহানগর আ. লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভা কাল
পরবর্তী নিবন্ধভাইরাল হাসবেন্ড!