দুর্বৃত্তরা প্রশ্রয় পাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাছে : হাই কোর্ট

| মঙ্গলবার , ৫ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:১৯ পূর্বাহ্ণ

দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান তদারকির দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাজে ক্ষোভ জানিয়েছে উচ্চ আদালত। হাই কোর্ট বলেছে, ‘দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি-উন্নয়নের জন্য সরকার প্রধান যেখানে ক্লান্তিহীন কাজ করে যাচ্ছেন, সেখানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেখভালের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বিশেষ করে ডিজিএম, জিএম, নির্বাহী পরিচালক ও ডেপুটি গভর্নররা ঠগবাজ, প্রতারক ও অর্থনৈতিক দুর্বৃত্তদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।’ ব্যক্তি স্বার্থের জন্য আর্থিক খাতের এই বিপর্যয়ের জন্য তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিৎ বলে মন্তব্য করেছে আদালত। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) পরিচালনা পর্ষদ অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে একটি বিদেশি অংশীদারী প্রতিষ্ঠানের করা আবেদনে এই পর্যবেক্ষণসহ আদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। খবর বিডিনিউজের।
এই আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ওমর ফারুখ। বিআইএফসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাসান আজিম, মাহফুজুর রহমান মিলন ও মো.সাইফুল ইসলাম সাইফ। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের হাই কোর্ট বেঞ্চ গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর এ আদেশ দেয়। সোমবার পূর্ণাঙ্গ আদেশের অনুলিপিতে এই পর্যবেক্ষণ দেখা যায়।
ওমর ফারুখ বলেন, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) ১০ শতাংশের বিদেশি অংশীদার ‘টিজ মার্ট ইনকরপোরেটেড’ গত বছর মার্চে আবেদনটি করেছিল। বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ নিয়ে বিদেশে পালিয়ে থাকা প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার ও তার সহযোগীরা বিআইএফসি থেকে কী পরিমাণ টাকা নিয়েছে, তা নির্ধারণের জন্য একটি স্বতন্ত্র নিরীক্ষক কোম্পানি নিয়োগের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল আবেদনে। ব্যারিস্টার ওমর ফারুখ বলেন, ‘আদালত পর্যবেক্ষণসহ আদেশ দেয়। আদেশে বিআইএফসির নতুন চেয়ারম্যান, পরিচালনা পর্ষদ এবং নিরীক্ষক কোম্পানি নিয়োগ দিয়েছে।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধস্বামীকে জামিনে ছাড়াতে প্রতারকের খপ্পরে ব্যাংক কর্মকর্তা