দুপুরের পরও সিটি স্ক্যান পরীক্ষার সুযোগ

জরুরি রোগীর ক্ষেত্রেই মিলবে এ সেবা চমেক হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগ

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৩ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং বিভাগে এতদিন কেবল এক শিফটে (সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত) সিটি স্ক্যান পরীক্ষার সুযোগ পেতেন রোগীরা। তবে সমপ্রতি দুই শিফটে এই সিটি স্ক্যান সেবা চালু হয়েছে হাসপাতালে। ফলে এখন দুপুরের পরও (রাত ৯টা পর্যন্ত) এই সিটি স্ক্যান পরীক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন রোগীরা। যদিও কেবল জরুরি (ইমার্জেন্সি) রোগীদের জন্যই দুপুরের পর এই সেবা চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুভাষ মজুমদার। তিনি বলেন, নিয়মিত রোগীরা আগের মতোই দুপুর ২টা পর্যন্ত সিটি স্ক্যান পরীক্ষার সুযোগ পাবেন। আর জরুরি রোগীর ক্ষেত্রে রাত ৯টা পর্যন্ত এই সেবা পাওয়া যাবে। জরুরি রোগীদের জন্য ১ সেপ্টেম্বর থেকে দ্বিতীয় শিফটের এই সেবা চালু করা হয়েছে বলেও জানান অধ্যাপক ডা. সুভাষ মজুমদার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরীক্ষা ভেদে সিটি স্ক্যান বাবদ চমেক হাসপাতালে ফি ২ হাজার ও ৪ হাজার টাকা। কিন্তু চমেক হাসপাতালের ২ হাজার টাকার এ ফি প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চার হাজার টাকার কম নয়। আর হাসপাতালের চার হাজার টাকার এ ফি বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা।
এখন দুই শিফটে চালু হলেও পরবর্তীতে দিনের ২৪ ঘণ্টাই (তিন শিফটে) এই সিটি স্ক্যান সেবা দেয়ার চেষ্টা চলছে জানিয়ে চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান আজাদীকে বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সিটি স্ক্যান পরীক্ষাটি বেশ ব্যয় বহুল। এ কারণে সবার পক্ষে বাইরে এ পরীক্ষা করানো সম্ভব নয়। বিশেষ করে গরীব-অসহায় রোগীদের বিষয়টি মাথায় রেখেই হাসপাতালেও যাতে সার্বক্ষণিক এই সেবা চালু রাখা যায়, আমরা সে চেষ্টা করছি।
ইচ্ছে থাকলেও কেবল জনবল সংকটের কারণে তিন শিফট সেবা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুভাষ মজুমদার। তিনি বলেন, মেডিকেল টেকনোলজিস্টরাই মেশিনগুলো চালায়। বিভাগে ৫টি এঙ-রে এবং একটি করে ম্যামোগ্রাফি, ওপিজি, এমআরআই ও সিটি স্ক্যান মেশিন রয়েছে। এ সব মেশিন পরিচালনায় সবমিলিয়ে ১০ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট রয়েছেন। যা খুবই অপ্রতুল। এই জনবলে ৫/৬ ধরণের মেশিন এক শিফটে চালানোই কষ্টকর। অতিরিক্ত শিফট সেবা চালু রাখতে গেলে অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট প্রয়োজন বলেও জানান রেডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুভাষ মজুমদার।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের মার্চ মাসের প্রথম দিকে নতুন সিটি স্ক্যান মেশিনের সেবা চালু হয় চমেক হাসপাতালের রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং বিভাগে। এর আগে বিভাগের পুরণো সিটি স্ক্যান মেশিনটি ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে অকেজো হয়ে পড়ে। সেই থেকে সরকারি হাসপাতালের কম খরচের এই সিটি স্ক্যান সেবা বন্ধ থাকে। তবে প্রায় সাত কোটি টাকা দামের জাপানি হিটাচি ব্র্যান্ডের (১২৮ স্লাইস) অত্যাধুনিক একটি সিটি স্ক্যান মেশিন পায় চমেক হাসপাতাল। ২০১৮ সালের নভেম্বরের শেষ দিকে মেশিনটি হাসপাতালে পৌঁছে। আর স্থাপন প্রক্রিয়া শেষে ২০১৯ সালের মার্চে এ মেশিনের সেবা চালু হয়। এর মাধ্যমে দীর্ঘ চার বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর পুনরায় সিটি স্ক্যান সেবা চালু হয় চমেক হাসপাতালে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১৭ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির মামলায় দুই আমদানিকারক জেলে
পরবর্তী নিবন্ধসিএমপির সহযোগিতা চায় চসিক